চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা-সাতক্ষীরা সড়ক সংস্কার ও পূননির্মাণ কাজের অংশ হিসেবে ডুমুরিয়া বাজার এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য সড়কের পাশে তৈরি করা হচ্ছে ড্রেন। ওই ড্রেনের পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমির উপর বহুতল ভবনসহ শতাধিক স্থাপনা রয়েছে। সেকল অবৈধ স্থাপনা বহাল রেখেই আঁকা-বাঁকা করে তৈরি করা হচ্ছে ড্রেন। অভিযোগ উঠেছে নির্মান কাজ তদারককারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজষে অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা রক্ষা করতে আকা-বাকা করে ড্রেন নির্মান করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ক্ষেত্রে অনিয়ম দুর, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদসহ নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহন করলেও প্রশাসনের এক শ্রেণির সুবিধাবাদী কর্মকর্তাদের কারনে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। খুলনা- সাতক্ষীরা সড়কের সংস্কার ও পুননির্মাণের কাজের অংশ হিসেবে বাজার এলাকায় রাস্তার দুপাশে বর্ধিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি পানি নিষ্কাশনের জন্য সড়কের উভয় পাশে তৈরি করা হচ্ছে ড্রেন। সড়কের দক্ষিন পাশে ড্রেন নির্মানের ক্ষেত্রে কিছুটা আইন মেনে ও দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি করা হলেও উত্তর পাশের ড্রেন তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় স্থাপনা বহাল রেখে ড্রেনটি আকা-বাকা করে নির্মান করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোন কোন স্থানে সড়কের প্রস্থ কমে যাচ্ছে। অদুর ভবিষ্যতে যদি সড়কটি আরও বড় করা হয় সেক্ষেত্রে এই ড্রেনটি ভাঙ্গতে হবে। এতে সরকারের গচ্ছা যাবে কোটি কোটি টাকা। তাই এখন যেহেতু সড়কের সংস্কার হচ্ছে সেহেতু সড়কের পাশে জায়গা বেশি রেখে ড্রেন নির্মান করা হলে সড়কের কোন ক্ষতি হবে না। পাশাপাশি অবৈধ দখলদারও উচ্ছেদ হবে। তা নাহলে সরকারের সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বেদখল হয়ে থাকবে।
এ বিষয়ে রাস্তার কাজ তদারকারী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান লিমন বলেন, অবৈধদখলদার চিহ্নিত করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়া হয়েছে। তারা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করবে। কিন্তু সেটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, যতদুর সম্ভব সড়ক বিবাগের নিজস্ব জায়গায় ড্রেন নির্মানের কাজ করা হচ্ছে। সড়কের সংস্কার ও নির্মাণ কাজের সময়সীমা শেষ হতে চলেছে। কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি। তাই দ্রুততার সাথে ড্রেন নির্মান কাজ করা হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসডিই ( সাব- ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার) মোঃ আব্দুল মোমেন এ বিষয়ে জানান, ড্রেন নির্মান সড়কের নিজস্ব জায়গাতেই করা হচ্ছে। ড্রেন দিয়ে যাতে সহজে পানি নিষ্কাশন হতে পারে এবং ড্রেনটি যাতে দৃষ্টিনন্দন হয় সে ব্যাপারে কোন অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: শাহানাজ বেগম এ বিষয়ে বলেন সরকারের জমিতে কোন অবৈধ দখলদার রাখা হবে না। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার ড্রেন নির্মানের ক্ষেত্রে যদি অবৈধ দখলদার বহাল রেখে করা হয় তাহলে সেটি বেআইনী। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে সড়ক বিভাগকেই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।