শেখ মাহতাব হোসেন:: ডুমুরিয়া (খুলনা) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ জানুয়ারি। এ আসনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদন্ধীতা করলেও নির্বাচনী মাঠ গরম রয়েছে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থীরা। দুই প্রার্থীর পোস্টার- ব্যানারে ছেয়ে গেছে দুই উপজেলা। তবে ওয়ার্কস পার্টির প্রার্থী শেখ সেলিম আকতার স্বপন কিছু পোষ্টারও কিছু কিছু স্থানে দেখা গেছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী ঈগলের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে তাদের হয়ে কাজ করছেন। এলাকার বাসিন্দা ডাঃ আশরাফ হোসেন বললেন, প্রচার-প্রচারে দুজনই তো সমান সমান, কে জিতবেন, বলা যায় না তবে বিরোধী বি,এনপি ও জামায়াত দল যার দিকে কিছু ভোটার ভোট দিবে সে প্রার্থী বিজয়ের সম্ভাবনা। ২ প্রার্থী ওদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও চারবারের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তাঁর বিপরীতে ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদন্ধীতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪ বার নির্বাচিত ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন।
তিনি ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি। স্থানীয় লোকজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেনের পাশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখা যাচ্ছে সমানে সমান। একই সঙ্গে তারা দুজনেরই কর্মী সমর্থকরা বিএনপি বা অন্য দলের ভোটার-সমর্থকদের কাছে টানার এবং তাঁদের ভোটকেন্দ্রে আনতে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ হারুনুর রশীদ বলেন, আপনারা নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে ভোট নির্বাচিত করবেন। এবার সে এম পি হয়ে আপনাদের সকল আশা পূরণ করে দিবে। ইনশাল্লাহ।
এ দিকে বুধবার বিকালে ফুলতলা এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতা ও প্রবর্তন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা সরোয়ার বলেন, নৌকার প্রার্থীর শাসন ও শোষন থেকে মুক্তি পেতে মানুষ বিকল্প হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেনের পক্ষে কাজ করছেন। তবে নৌকার বিরুদ্ধে নয়, ব্যাক্তি নারায়ণ চন্দ্র চন্দর বিরুদ্ধে। এ দুই উপজেলা অধিকাংশ দলীয় হেভিওয়েট নেতাকর্মীরা ঈগল প্রতিকের পক্ষে কাজ করছেন। আমরা বছর বছর ধরে এ দুশ্যাসন থেকে মুক্তি পেতে রাস্তায় নেমেছি। এছাড়া বর্তমানে যারা নৌকার মিছিল মিটিংয়ে কাজ করছেন, এরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে কাজ করছে কিন্তু এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশী ঈগল প্রতিকের লোক রয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে ঈগল প্রতিককে বিজয়ী করে প্রমান করবে সাধারণ মানুষ কাকে চায়।
এ আসনে একবার জামায়াত বিএনপির প্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখানে দল দুইটির ভোটব্যাংক রয়েছে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, নৌকা ও ঈগল প্রতিকের প্রার্থী সহ তাদের লোকজন এখন বিএনপি ও জামায়াতের ভোটারদের কাছে টানাসহ এবং তাদেরকে কেন্দ্রে আসতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছেন।