চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃকুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় অবৈধভাবে চলছে আম-কাঁঠালের বড় বড় গাছ কর্তন। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র ‘সিরাজপুর হাওড় নদীর’ বেড়িবাঁধ এলাকাসহ পাকা রাস্তার দুই পাশের এসব গাছ কেটে বিক্রয় করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চক্রটি উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে আম ও কাঁঠালের আট থেকে নয়টি বড় বড় গাছ কাটতে শুরু করে। পরে গ্রামবাসীরা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জানালে বেলা ১২টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাছ কাটা বন্ধ করেন। একই সঙ্গে গাছের কাটা অংশবিশেষ উদ্ধার করে সবুজ নামে স্থানীয় যুবকের জিম্মায় রাখা হয়।
বেড়িবাঁধের একাধিক পয়েন্টে এমনভাবে অবৈধ পন্থায় গাছ কাটা চলছে বলে দাবি করেছে একাধিক সূত্র।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য জানান, ‘সিরাজপুর হাওড় নদীর দুই তীরের প্রায় ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং পাকা রাস্তার দুই পাশে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ কোটি টাকার গাছ রয়েছে। এসব গাছের মালিক সরকার। কিন্তু প্রভাবশালীরা নির্বিচারে যেভাবে গাছ কাটা শুরু করেছে তাতে অল্প সময়ের মধ্যে বিশাল এই এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হবে। পাশাপাশি সরকার হারাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
তিনি অবৈধভাবে গাছ কাটা বন্ধ করাসহ এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ দিকে, স্থানীয় মেহের আলীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দাবি করেন, গ্রামবাসী তাদের নামের রেকর্ডিও জমিতে রাস্তা নির্মাণ করেছে। তাই তারাও নিজেদের রেকর্ডিও জমির ওপর থেকে গাছ বিক্রয় করেছেন।
এ ব্যাপারে খোকসা থানার এসআই ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘সরকারি বেড়িবাঁধ ও পাকা রাস্তার পাশ থেকে কাটা গাছের অংশ জব্দ করে একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।