কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃকরোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশে জারি হওয়া লকডাউনের মধ্যে বহু মানুষ বাধ্য হয়ে সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠান পেছাতে। অনেকেরই এই সময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্যে সেই শুভ অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
কিন্তু সাধারণে যে বিধিনিষেধ মেনে চলেন তা মানতে কী বাধ্য সবাই? করোনা সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন- সরকারের এই বার্তাকে লবডঙ্কা দেখিয়ে জাঁকজমক করে বিয়ের আয়োজন করেছিলেন কুষ্টিয়ার খোকসার আফজাল হোসেন। উপজেলার কমলাপুর গ্রামের এই ব্যক্তি ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করেছিলেন তার কন্যার।
মহা সমারোহে বিয়ের এই আয়োজনে দাওয়াত ছিল পাঁচ শতাধিক মানুষের। সব আয়োজন যখন সম্পন্ন, সবেমাত্র বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু। ঠিক সেই মুহূর্তেই হানা দেন নির্দয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ কুমার বসাক।
শুক্রবার (২৬ জুন) বেলা ১২ টায় জনসমাগম করে মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার অপরাধে মেয়ের বাবা ও বরকে নগদ ২০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ কুমার বসাকের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমান আদালত। আর এই অর্থের ১০ হাজার পরিশোধ করেন শ্বশুর আফজাল হোসেন। আর বাকিটা বর মেহেদী হাসান।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ কুমার বসাক উভয় পক্ষের সকল অতিথিদেরকে বিয়ের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।পরে উভয় পক্ষের কয়েকজনের উপস্থিতিতে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ কুমার বসাক দৈনিক অধিকারকে বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে ব্যাপক আয়োজন করার অপরাধে সংক্রামক রোগ (নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ অনুযায়ী মেয়ের বাবা আফজালকে ১০ হাজার টাকা ও বর মেহেদী হাসানকে যথাক্রমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি সকল নির্দেশ পালনেরও তাগিদ দেন তিনি। সকল সামাজিক অনুষ্ঠান না করার ব্যাপারেও সবাইকে আহ্বান জানান।