গত দেড় দশকে আওয়ামী স্বৈরাচার নিজেদের অভিশপ্ত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষকে বিষিয়ে তুলেছিলো। শুধু আওয়ামীলীগ ও তাদের দোসর ছাড়া সবাই ছিলো মাজলুম আর তারা ছিলো জালিম। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, অধিকার হরণ, জুলুম, নির্যাতন, গুম, খুন এমনকি দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়াসহ হেন কোন কাজ নেই, যা তারা করেনি। ফলশ্রুতিতে আপমর জনসাধারণ ছাত্রবিক্ষোভের সাথে নিঃস্বার্থভাবে একাত্বতা পোষণ করে এবং স্বৈরাচার পতনের একদফা দাবীতে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়। অগণন ছাত্র-জনতার জীবন, রক্ত ও হতাহতের মধ্য দিয়ে এই দেশবিরোধি অপশক্তির পতন হয়। সুতরাং এই সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের জমিনে আর রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই। অতএব তাদের প্রতি নম্রতার কোন সুযোগ নেই।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) সন্ধ্যায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরের এক জরুরী সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর ও খুলনা মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা দায়িত্বে এসেছেন, তাদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করে এদেশের মানুষ। যে বক্তব্যে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়, দ্বিধাবিভক্ত হয়, দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে এমন বক্তব্য ছাত্র-জনতা প্রত্যাশা করে না।
সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন নগর সহ-সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, আলহাজ্ব আবু তাহের, সেক্রেটারী মুফতী ইমরান হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবু গালিব, অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, এইচএম আরিফুল ইসলাম, শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মাওলানা নাসিম উদ্দিন, হাফেজ আব্দুল লতিফ, গাজী মিজানুর রহমান, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, মোল্লা রবিউল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, কাজী তোফায়েল হোসেন, মোহাম্মদ কবির হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মাসুম, শ্রমিক নেতা এস এম আবুল কালাম আজাদ, মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম খান, যুব নেতা মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, মোঃ আব্দুস সবুর, ছাত্র নেতা মোঃ মাহাদী হাসান মুন্না, মোস্তফা আল গালিব, হাবিবুল্লাহ মেজবাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।