ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেছেন, গণহত্যাকারী হাসিনার পুত্র জয় দেশের সংবিধান রক্ষার জন্য এবং তিনমাসের মধ্যে নির্বাচনের দেওয়ার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দেশদ্রোহী কাজ করেছে। এজন্য শেখ হাসিনা ও জয়ের বিচার হতে হবে। তিনি বলেন, ভারতের কাছে দেশ ও আওয়ামী লীগের সংবিধান রক্ষার দাবি করে তারা দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্যের পরিচয় দিয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সংবিধান এবং নির্বাচন দেয়ার এখতিয়ার রাখে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিগত ১৬ বছরে দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। অনেক মানুষ হত্যা করেছে। বিশেষ করে জুলাই-আগষ্ট মাসে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে মানবতা লঙ্ঘন করেছে। এ জন্য খুনি হাসিনা ও তার দলের সকল খুনিদেরক বিচার করতে হবে।
মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, ৫ আগস্ট ফেরাউনের কবল থেকে দেশবাসী মুক্তি পেয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন ছিল সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরাই যেন বৈষম্য সৃষ্টি না করে, এটা আমাদের দাবি, ছাত্র-জনতার দাবি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক জীবন ও রক্ত দিয়ে সাথে ছিল। এজন্য কোন বৈষম্য মেনে নেয়া হবে না। প্রতিবিপ্লবের চক্রান্ত ছাত্র-জনতা রুখে দিবে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট ) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশখুলনা সদর থানার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাজার ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বান্দা বাজারে গণহত্যার বিচার, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং নিহতদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ মিরাজ মহাজন, ৩১ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আলহাজ্ব সেলিম হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, সেক্রেটারি মুফতী ইমরান হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি আবু গালিব, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা দীন ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, সদর থানার সেক্রেটারি গাজী ফেরদাউস সুমন, সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, লবণচরা থানার সভাপতি মাওলানা নাসিম উদ্দিন, সেক্রেটারি আব্দুস সালাম, মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, মোহাম্মদ শাহিন, মোঃ ডালিম হাওলাদার, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সদর থানার সভাপতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ মেজবাহ, মোঃ মাসুম বিল্লাহ, মোঃ শাহরিয়ার নাফিজ ফাহিমুল ইসলাম, মোঃ নুরুল করিম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, ছাত্র-জনতা জীবন ও রক্ত দিয়ে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছে দেশ। মানুষ সুখে-শান্তিতে ও নিরাপদের সাথে বসবাস করবে।
তিনি বলন, সকল ধর্মের সংখ্যানুপাতিকহারে চাকুরী নিশ্চিতের দাবি জানান। সকলক্ষেত্রে বৈষম্য রুখে দিতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি নির্লজ্জ দল। শেখ হাসিনা পুরো পরিবার দেশ থেকে পালিয়ে গেছে নেতাকর্মীদের ফেলে। এখন আপনারা কোন মুখে শেখ হাসিনার উস্কানীতে পা দিয়ে দেশে নতুন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন? লজ্জা থাকলে কেউ কোন দিন আওয়ামী লীগ করতে পারে না। ফেরাউন হাসিনা নিজেদের প্রয়োজনে বার বার সংবিধানকে পরিবর্তন করে সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। এখন উপদেষ্টাদেরকে শেখ হাসিনার দেশবিরোধী সংবিধানকে বাতিল করতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।