বেনাপোল প্রতিনিধি : বিভিন্ন সময়ে ভারতে চিকিৎসা ও বেড়াতে গিয়ে করোনা ভাইরাসের কারনে আটকে পড়াদের মধ্যে সোমবার (১১ মে) সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত আরও ২১৭ জন নারী পুরুষ ও শিশু বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরেছে। এর আগে গতকাল রোববার (১০ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে ৩১৩৭ জন নারী-পুরুষ ও শিশু দেশে ফিরে আসে। এদের সকলকে যশোরের ঝিকরগাছার গাজির দরগাহ ও বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টারের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টোইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে অর্থ্যাৎ গত ৩৫ দিনে দেশে ফিরল ৩ হাজার ৩ শ’ ৫৪ জন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী।
সারা বিশ্বে মহামারি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গত ৬ এপ্রিল সরকার ঘোষনা দেয় বিদেশ থেকে যারা দেশে ফিরবে তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তত্তাবধানে নিয়োজিত প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। তারই ধারাবাহিকতায় ০৬ এপ্রিল থেকে ১১ মে সোমবার পর্যন্ত ভারত থেকে ৩৩৫৪ জন বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরেছে। এর মধ্যে ৭ জনের মৃত দেহ ছিল। সকলকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টোইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে যারা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন এবং কোভিড-১৯ শনাক্ত হননি তারা বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকিরা এখনও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভারত থেকে ফেরত আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিকটস্থ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে। সোমবার সকাল ৯ টা থেকে সন্ধা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত সময়ে এ পথে ভারত থেকে চিকিৎসা ও ভ্রমন শেষে দেশে ফেরা ২১৭ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে সেনাবাহীনি, পুলিশ, বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যশোরের ঝিকরগাছা থানার গাজির দরগাহ মাদ্রাসায় কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে গেছেন।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারত থেকে ফেরত আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন রাখা হচ্ছে। যেসব যাত্রী দেশে এসেছে তাদের আমরা যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গাজিরদরগাহ নামক একটি মাদ্রাসায় রেখেছি। সেখানে তারা ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর যদি কারো শরীরে করোনা সংক্রামক ধরা না পড়ে তাহলে সরাসারি বাড়ি চলে যাবেন।