পাইকগাছায় প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপজেলার চাঁদখালীতে কপোতাক্ষ নদের খননকৃত মাটি কেটে রাতের আধারে পাঁচার করা হচ্ছে ইট ভাটায়। প্রশাসনের নজরদারি স্বত্বেও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ফাঁকি দিয়ে বেকু ম্যাশিনে মাটি কেটে মহেন্দ্র গাড়ীতে করে ইট ভাটায় পাঁচার করছেন। এ ঘটনায় কালীদাশপুর ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম গাজী,সালাউদ্দীন গাজী,মেহেদী হাসান,নজরুল ইসলাম,সবুর গাজীসহ অনেকেই সংসদ সদস্যোর হস্তক্ষেপ কামনা করে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে চাদঁখালীর অধিকাংশ ইট ভাটায় কপোতাক্ষ নদের খননকৃত সরকারী মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকা থেকে চাঁদখালী বাজার হয়ে ধামরাইল পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের পাশে রাখা খননকৃত সরকারি মাটি এবং কোথাও কোথাও চর ভরাটি জমি থেকে গভীর রাতে স্কেভেটর (ভেকু) ম্যাশিন দিয়ে কেটে লাখ লাখ টাকার সরকারি মাটি মহেন্দ্র গাড়িতে করে ইটভাটা গুলো তে পাঁচার করা হয়। এর ফলে রাস্তায় ধুলোবালি-কাঁদায় চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে,বিশেষ করে বর্ষা হলে পিচ্ছিল হয়ে সড়ক গুলোর পরিবেশ নষ্ট হয়,বাড়ে দুর্ঘটনা। অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব।
প্রতিকার পেতে ইতোমধ্যে স্থানীয়রা সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামানের কাছে অভিযোগ করলে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারী মাটি কাঁটার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে ৭ ব্যক্তির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। তার পরেও মাটি চুরি বন্ধ হচ্ছে না। প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা উপেক্ষা করে গভীর রাতে চুরি হয়ে যাচ্ছে কপোতাক্ষ নদের খননকৃত সরকারি মাটি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (লস্কর) মোঃ কামরুল হাসান বলেন, এখানকার সরকারী মাটি কাঁটার ঘটনায় কয়েক জনের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেকেই গভীর রাতে মাটি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা মোঃ আবু ইলিয়াস বলেন, ঢালাও অভিযোগ সঠিক নয়, অনেকেই বাড়তি সুবিধা না পেয়ে অভিযোগ করছে, তবে এব্যাপারে আমি নিজেই বেশ আগে বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তুলে ছিলাম বলে জানান স্থানীয় এ জনপ্রতিনিধি।
যারা একাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আরিফুজ্জামান।