করোনা সংকটে কর্মহীন ও প্রান্তিক হতদরিদ্র মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে মানুষের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পৌঁছাতে শুরু করেছে। জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে মে এবং জুন-এই দুই মাস ৫০ লাখ পরিবার পাঁচ হাজার করে টাকা পাবে। বিকাশ, নগদ, রকেট ও শিওরক্যাশের মাধ্যমে পরিবারগুলোর কাছে টাকা পৌঁছানো হচ্ছে।
এই আর্থিক সহায়তা কারা পাবেন, এর একটি নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ কর্মহীন ও নিম্ন আয়ের অনেক পেশার মানুষকেও রাখা কথা বলা হয়েছে।
তবে এ তালিকা নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ উঠে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যে ফরম দেওয়া হয়েছে তা কেউ পূরণ করার সুযোগ পায়নি। কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান বা অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা তাদের অনুসারী ও এমন ব্যক্তিদের এই তালিকায় এনেছেন যাদের মাধ্যমে তিনি আগামীতে ভোট পাবেন। নিজের ভোটের রাজনীতি করার লক্ষে তার ইচ্ছা অনুযায়ী তালিকা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে একটি তালিকা ভাইরাল হয়েছে। যেখানে পলাশ নামের একজন ব্যক্তি তালিকাটি তুলে ধরেছেন। তিনি বলছেন, ব্যক্তিস্বার্থে ভোটের রাজনীতির জন্য এমন ব্যক্তিদের এই তালিকায় আনা হয়েছে যারা বৃত্তবান, সম্পদশালী ও বাড়িওয়ালা। এমন কিছু ব্যক্তির নাম ঠিকানা দেয়া হয়েছে যিনি বাড়ীওয়ালা। তার বাড়িতে ২০ জন ভাড়াটিয়া রয়েছে। যদি এই তালিকায় তার নাম দেওয়া হয়, তবে ২০টি ভোট পাওয়া যাবে। এছাড়া রয়েছে সরকারি স্কুল শিক্ষক, সমিতির মালিক, ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য পেশার লোক।
তিনি মনে করেন এটি ভোটের রাজনীতি, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ তারা সঠিকভাবে ব্যবহার না করে তা নিজ রাজনীতির ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে। তারা তাদের কাছের মানুষকে বেছে বেছে তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছে। এবং অনেক সময় দেখা গিয়েছে একই বাড়ির ছেলে বাবা স্ত্রী তালিকায় উঠে এসেছে। গরিবের টাকায় তারা ভোটের রাজনীতি করছে।
তিনি জানান পুলিশের এটি যাচাই বাছাই করা উচিত এবং পদক্ষেপ নেয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী ভোটের রাজনীতি করতে বলেননি, তিনি বর্তমান সময়ে গরীব অসহায় মানুষের পাশে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
https://www.facebook.com/gp.city.corp/videos/589380015019665/