চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃগাঁজা সেবনকালে সেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে নগরীর ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ডের পুরাতন কাপড়ের ৩৬টি দোকান। দোকানে আগুন লাগানোর মামলায় গ্রেফতার আসামি মোঃ সোহাগ শেখ (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফৌজধারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোঃ আতিকুস সামাদ রেকর্ড করেন। সোহাগ নগরীর ২৭৩, শেরে বাংলা রোডের মানিক শেখের ছেলে এবং ফেরিঘাট মোড়ের একটি হোটেলের কর্মচারী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার এসআই মল্লিক মনিরুজ্জামান জানান, ২৬ নভেম্বর ভোর ৬টার দিকে নগরীর ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ডের পুরাতন কাপড়ের দোকানে আগুন লাগার সময় নাইট গার্ড হায়দার আলী সোহাগকে দৌড়ে পালাতে দেখে। ২৭ নভেম্বর ভোর ৫টার দিকে নাইট গার্ড হায়দার আলী রাজ্জাকের চায়ের দোকানের সামনে সোহাগকে দেখে অন্যদের সহায়তায় আটকের পর থানায় সোপর্দ করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তারা ৪ জন রাতে গাঁজা সেবন করার সময় সেখান থেকে পুরাতন ওই কাপড়ে আগুন লাগে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নগরীর আপর যোশার রোডস্থ ফেরিঘাট পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে পুরাতন কাপড়ের ৩৬ দোকান রয়েছে। ২৫ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। ২৬ নভেম্বর ভোর ৬টার দিকে সময় নাইট গার্ড হায়দার আলী মুঠোফানে তাদের জানায় দোকানে আগুন লেগেছে। তার কাছ থেকে জানা যায় আগুন লাগার সময় সোহাগকে দৌড়ে পালাইতে দেখার কথা। এ ঘটনায় ১৪, স্যার ইকবাল রোডের আব্দুর রশিদ শিকদার বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন (নং-২৮)। মামলার অপর তিন আসামি হলেন নগরীর টুটপাড়া মেইন রোডের মোঃ শাহাজাহানের ছেলে মোঃ জুবায়ের হোসেন (৩০), শেরে বাংলা রোডের চামড়া পট্টির হায়দার আলী ছেলে মোঃ রাসেল (৩০) ও শেখপাড়া জনতা ব্যাংকের গলির মোঃ কালা সরদারে ছেলে মোঃ সোহাগ (২৭)।