গাজীপুর থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পিকআপ কিনতে আসা এক ব্যক্তির ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক এসআই ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় সীতাকুণ্ডু থানায় মামলার পর ওই দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা হলেন- সীতাকুণ্ডু থানার এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম।
এছাড়া মামলায় পুলিশের তিন সোর্সকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- সীতাকুণ্ড পৌরসভার বাসিন্দা মো. রিপন (৩৫), মো. হারুন (৩০) ও রাজু (২৮)।
আর ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম আবু জাফর (৪৩)। তিনি গাজীপুর জেলার গাছা থানার অস্থায়ী বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে।
সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর পিকআপ কেনার জন্য গাজীপুর থেকে সীতাকুণ্ডে আসেন আবু জাফর। দরদাম না মেলায় বাড়ি ফেরার উদ্দেশে পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডে টিকিট কিনে শ্যামলী বাস কাউন্টারে অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি।
এসময় পুলিশের তিন সোর্স তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।
এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে দেন এসআই সাইফুল আলম ও ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লার বডিগার্ড কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম। তারা দুজন
নিজেদের ডিবি পরিচয় দেন এবং ভুক্তভোগীর পেটে ইয়াবা রয়ে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান এক্সরে করাতে।
পরে আবু জাফরের কাছে ইয়াবা না পেয়ে তাকে গাড়িতে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরানো হয়। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা ২ লাখ ৮০ হাজার কেড়ে নিয়ে তাকে মৃত্যুর ভয়ভীতি দেখিয়ে ঢাকার একটি গাড়িতে তুলে দেয়া হয়।
কিন্তু ঢাকায় না গিয়ে আবু জাফর সীতাকুণ্ড থানায় এসে বিষয়টি জানান। ঘটনাটি চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারও জানতে পেরে তদন্তের জন্য সীতাকুণ্ডু সার্কেলের এডিশিনাল এসপি মো. আশরাফুল করিমকে নির্দেশ দেন।
আশরাফুল করিম তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে এসপিকে অবগত করলে তিনি ওই দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
এদিকে মামলার পরই অভিযুক্ত ওই দুই পুলিশ সদস্য পালিয়ে যান। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে তাদের গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার অপর তিন আসামির মধ্যে সোর্স রিপনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি দুজনকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ডু সার্কেলের এডিশিনাল এসপি মো. আশরাফুল করিম যুগান্তরকে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।