সচেতনতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে বাসা-বাড়িতে নতুন কাজের গৃহকর্মী, মালি কিংবা দারোয়ান নিয়োগ করা হলে নিকটস্থ থানায় অবগত করার কথা বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি-ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
গত বুধবার (২০ জানুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীজুড়ে ডিএমপি ডিবির একাধিক টিমের চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি প্রতিরোধে বিশেষ অভিযানে আটক ৩৪ জনের বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হাফিজ আক্তার বলেন, রাজধানীর অনেক বাসা-বাড়িতে গ্রিল কেটে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ডিএমপি রাজধানীর প্রতিটি বাসা-বাড়ির হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করছে। সচেতনতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে বাসা-বাড়িতে নতুন কাজের গৃহকর্মী, মালি কিংবা দারোয়ান নিয়োগ করা হলেও তা নিকটস্থ থানায় জানাতে হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর বাসা-বাড়ি ও দোকানের গ্রিল কেটে, জানালা কেটে বা ভেঙে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের ঘটনা কিছুটা বাড়ায় ডিএমপি তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এর ধারাবাহিকতায় ডিএমপির ৩২টি টিম একযোগে অভিযান চালিয়ে ৩৪ জনকে আটক করে।
ডিএমপি ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম পূরণের জন্য বারবার তাগাদা দিচ্ছে উল্লেখ করে হাফিজ আক্তার বলেন, এ প্রক্রিয়ায় বাসা-বাড়ির তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে। আমরা সচেতনতা ও নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ করছি। সবাই সচেতন হলে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে। বিশেষ করে কারো বাসায় নতুন দারোয়ান বা মালি নিয়োগ দিলে, তা যেন নিকটবর্তী থানায় অবগত করা হয়। তাহলে বাসা-বাড়িতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনাগুলো কমে আসবে। অথবা চুরি ও ডাকাতির মতো ঘটনাগুলো ঘটলে তাদের সহজেই গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ। এছাড়া বাসা-বাড়ি পরিবর্তন করলেও জানাতে হবে থানায়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঘটছে, বাসার দুর্বল দিকগুলো টার্গেট করে অপকর্ম করছে। বাসার বাথরুম কিংবা কিচেনের পেছনের গ্রিল কেটে চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে সচেতনতার জন্য সবাইকে বাথরুম বা কিচেনের দরজা লাগিয়ে রাখার জন্য বলছি। এছাড়া যাদের সামর্থ্য আছে তারা যেন বাসায় সিসি ক্যামেরা বা আইপি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখেন। যে বাড়িতে গৃহকর্তা-গৃহকত্রী দু’জনই চাকরিজীবী, তাদের বাসার নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা রাখা খুবই উত্তম।
অনেকেই আছেন অপকর্মের ঘটনা ঘটলেও থানায় জানান না। এক্ষেত্রে নিজের পাশাপাশি নগরের অন্য বাসিন্দার নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়। তাই অনুরোধ, যেকোনো ধরনের অপকর্মের ঘটনা ঘটলে যেন সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করা হয়।