টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ চলমান করোনা পরিস্থিতে অসহায় ও দরিদ্রদের মধ্যে গোপালগঞ্জে ব্যক্তিগত উদ্যোগের ত্রাণ বিতরণে বাধা সৃষ্টি ও মারপিঠের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার শুকতাইল ইউনিয়নের চর তালা গ্রামে। ওই গ্রামের অলিয়ার সিকদার ও তার দলবল এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার স্বীকার হয়েছেন ত্রাণ গ্রহীতারাও।
ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ত্রাণ বিতরণকারীরা।
অভিযোগে থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার শুকতাইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চর তালা গ্রামের মোঃ হালিম শেখের ছেলে মোঃ লিটু শেখ ব্যক্তি উদ্যোগে গত ১৮ এপ্রিল গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের জন্য কিছু ত্রাণ সামগ্রীর বিতরণের ব্যবস্থা করেন। একই গ্রামের মৃত ইস্রাফিল সিকদারের ছেলে অলিয়ার সিকদার (৪০) এর নেতৃত্বে তার ভাই শিপন সিকদার এবং মৃত রোকন সিকদারের ২ ছেলে লাল্টু সিকদার ও মুন্নু সিকদার এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে বাধার সৃষ্টি করে। খাদ্য সামগ্রী বিতরণকারী ও গ্রহণকারীদের মারধর করে। মারধরের চেষ্টা করে উদ্যোক্তাকেও। এসময় পরবর্তীতে হামলাকারীরা ওই একই গ্রামের মোমরেজ সিকদারের ছেলে ওয়াহিদ সিকদার ও জবেদ মোল্লার ছেলে নাজমুল মোল্লাকে বেধড়ক মারপিট করে। এমনকি ত্রাণ নিতে আসা অসহায় ব্যক্তিদের উপর হামলা করে এবং জীবন নাশের হুমকি দেয়।
উদ্যোক্তা লিটু শেখ আরো বলেন, আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে চর তালা গ্রামের ২৪০টি দুঃস্থ্য পরিবারকে ৫ কেজি চাল ও ২ কেজি করে আলু বিতরণের সময় ওয়াহিদ সিকদার ও জবেদ মোল্লার ছেলে নাজমুল মোল্লাকে বেধড়ক মারপিট করে অলিয়ার সিকদার গং। যেসব দু:স্থ্য মানুষ এই খাদ্য সহায়তা নিয়েছে তাদেরকেও মারধর করে, জীবননাশের হুমদি দেয়। আমি একাজ করতে নিষেধ করলে আমাকেও মারার চেষ্টা করে। তারা চাঁদাবাজি, বিভিন্ন প্রকারের অসামাজিক ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে চালিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করেছে।
অভিযুক্ত অলিয়ার সিকদার মুঠোফোনে জানান, আমার এক ভগ্নিপতি হত্যা মামলার আসামী লিটু শেখ ও তার দুই ভাই। সেই ক্ষোভ থেকেই আমার উপর এ মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। আমি বা আমার কোন লোক ত্রাণ বিতরণে বাধা সৃষ্টি বা হামলার ঘটনার সাথে জড়িত নেই।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদিকুর রহমান খান অভিযোগ পেয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।