গোপালগঞ্জে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল রবিবার রাত ৯টা থেকে থেমে থেমে এ সংঘর্ষ ঘটে।
সংঘর্ষের সময় মেডিকেল কলেজের টিকাকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভবনের কাচ ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে ইটের আঘাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সংবাদকর্মী ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) আয়েশা সিদ্দিকা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদনান তাইয়ানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বর্তমানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূচনা হয়। মেডিকেল কলেজের মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলে থাকেন। এ সময়ে মাঠের পাশ দিয়ে মেডিকেলের ছাত্রীরা গেলে তাদের উদ্দেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নানা মন্তব্য করে থাকেন। সে জন্য ওই মাঠে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। এ নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. মাসুদুর রহমান জানান, মেডিকেল কলেজের টিকাকেন্দ্রসহ অন্যান্য ভবনে ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।