নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো ধরণের গোলযোগ না হলেও ভেতরে ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলী খন্দকার। রবিবার নির্বাচন শেষে ভোট গণনা চলাকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে,সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। ভোট দিয়ে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে জনগণ আমার পক্ষে আছে, হাতির পক্ষে আছে। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবো, ইনশাআল্লাহ।”
ভোটের পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র এই প্রার্থী আরও বলেন, “আপাতত ভাল দেখছি পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে। একটি কেন্ত্র ছাড়া সবগুলোতে এজন্ট দিতে পেরেছি। ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে বলা যাবে।”
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র হওয়ার আশায় দলীয় নির্দেশ অমান্য করেই হাতি প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ হারানো অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এর আগে ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে দলের নির্দেশে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। তবে এবার মরে গেলেও ভোট মাঠ ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ দুইজন ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও পাঁচজন। মেয়র পদে অন্যরা হলেন— খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস, কামরুল ইসলাম স্বতন্ত্র।