চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃযশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, যশোর পৌর শহরের মোল্যাপাড়া এলাকার কলেজছাত্র সোহাগকে পরকীয়া প্রেমের জেরে খুন করা হয়েছে। খুন করার আগে মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে সেই মদ খাওয়ানো হয়। এরপর নেশার ঘোরে সে ঘুমিয়ে পড়লে কলেজছাত্র সোহাগকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এভাবেই হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতারকৃত রায়হানসহ কালিপদ বিশ্বাস ও দাউদ হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মারুফ আহম্মেদসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম আরও জানান, গত ২১ অক্টোবর গভীর রাতে যশোর পৌর শহরের মোল্যাপাড়া এলাকার ভৈরব নদের পাড়ে কলেজছাত্র সোহাগকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। পরবর্তীকালে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ভাই মিলন হোসেন তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিন থেকে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর এজাহারভুক্ত আসামি রাকিব ও আরমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
এ দিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে অভিযান চালিয়ে এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রায়হানকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেন। পরে তার স্বীকারোক্তিতে কালিপদ বিশ্বাস ও দাউদ হোসেনকে সোমবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে গ্রেফতারকৃত রায়হান যশোর পৌর শহরের মোল্যাপাড়া এলাকার মৃত খায়রুল ইসলামের ছেলে, কালিপদ একই এলাকার নগেন কুমারের ছেলে ও দাউদ ছোট শেখহাটির ওহেদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান দৈনিক অধিকারকে জানান, ‘গ্রেফতারকৃত রায়হানসহ অন্যান্যরা সোহাগ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরকীয়ার কারণেই মূলত এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, মদের সঙ্গে মেশানো ঘুমের ওষুধ ও মদের বোতলসহ তিনটি মুঠোফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।