যশোর প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে যশোরে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গতকাল রাত থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। আজ বুধবার ( ২০ মে ) সকাল থেকে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকে যশোরের আকাশ মেঘে ঢাকা। দমকা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে ।
মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে যশোরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানগুলোতে লোকসংখ্যা কমতে দেখা গিয়েছে। যশোরের কাচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে বাজার প্রায় ক্রেতাশূণ্য। রাস্তায় মানুষের চলাচল আগের তুলনায় কম। সকাল থেকেই বৃষ্টি হওয়ার কারণে কেউ বাইরে বের হয়নি।
শহরের জিরো পয়েন্ট মোড়ে একজন ফার্মেসী কর্মীর সাথে কথা হলে তিনি জানায়, জরুরী কাজের জন্য বাসা থেকে বের হতে হয়েছে, এই আবহাওয়ার মধ্যে বাইরে বের হওয়াটা ঝুকিপূর্ণ কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে তো হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান আজ সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে আজ সকাল থেকেই দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেতে আছে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর। এছাড়া সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর এবং চাঁদপুর জেলাতেও দেখানো হচ্ছে দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। আবহাওয়াজনিত সতর্ক সংকেতের মাপকাঠিতে এটাই সর্বোচ্চ সংকেত।