শেখ মাহতাব হোসেন :: ডুমুরিয়া ( খুলনা) দিগন্ত জুড়ে শুধু তরমুজ আর তরমুজ। দিগন্তের ঐ নীলিমার নীলে মিশে যেন একাকার হয়ে গেছে বুধবার সকালে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রমের এ বিলটির তরমুজ ক্ষেতগুলো। সমস্ত ঘেরেই শোভা পাচ্ছে এশিয়ান-২, সোনিয়া, ব্লাকবেবি, কানিয়া, তৃপ্তি, রেড ড্রাগন জাতের তরমুজ। এক একটি তরমুজ একেকটি স্বপ্ন। ঘেরেই পার্টি এসে নিয়ে যাচ্ছে, তরমুজ ; দিয়ে যাচ্ছে নগদ অর্থ। খামারেই প্রতিকেজি তরমুজের মূল্য জাত ভেদে ২৮-৩৩ টাকা। একবিঘা জমির ঘেরের পাড়ে তরমুজ লাগাতে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর জাত ভেদে মাত্র ৬৫-৭০ দিনে ৬০,০০০-১০০০০০/- টকা লাভ করা যায়। লবন সহনশীল ফসল হওয়ায় লবনাক্ত বাগদা ঘেরের আইলে ও অনায়সে চাষ করা যায়। কোন সেচ খরচ লাগেনা, ঘেরের আইলে লাউ, মিষ্টি কুমড়া আবাদের মত পরিচর্যাতেই হয়ে যায়। তরমুজের জন্য তৈরিকৃত মাচা পরবর্তী শিমসহ অন্যান্য ফসলে ব্যবহার করা যায় এবং একবার তৈরিকৃত মাচা ২-৩ বছর ব্যবহার করা যায়। এছাড়া অন্যন্য ফসলের মত এটি বেচতে তেমন সমস্যা হয়না। বেপারি সরাসরি মাঠ থেকে কিনে নিয়ে যায়। কুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আসাদ মোড়ল গত ২০/০৮/২১ তারিখে তার বিক্রয়কৃত ৩০ মনের মূল্য ৩৯৬০০ টাকা বুঝে পেয়ে খুব খুশি। অদ্য২৫/৮/২১ তারিখে এই তরমুজ চাষ পরিদর্শনে আসেন খুলনা-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক সফল মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আগামীতে তিনি এই খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং কিভাবে ঢাকার বাজারে পৌছানোর মাধ্যমে ন্যয্যমূল্য পাওয়া যায় তিনি তা নিয়ে কাজ করবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন, উপসহকারী কৃষি অফিসার আশুতোষ দাস, প্রকাশ চন্দ্র রায় এবং কয়েকজন কৃষক।