চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ঘিরে দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এতে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে নগরীর কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় ৩৫ জন, বাকলিয়ায় ২৪ জন এবং আকবর শাহ থানায় ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার রাতে এ ঘটনায় নগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোশারুফুল হক চৌধুরী পাভেল একটি মামলা করেছেন।
এ ছাড়া পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের সময় জোর করে সেখানে ঢুকে হামলার ঘটনায় ৮১ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের অফিস সহকারী বাপ্পু কুমার দাশের মামলার পর পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে একই দিন বিকালে বাকলিয়া থানার বলিরহাটেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিমের নির্বাচনী প্রচারণার সময় যুবদলের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ইমাম হোসেন সাগর নামে এক ব্যক্তি এ মামলা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে একজনসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারদের মধ্যে দুজন এজাহারভুক্ত আর দুজন পুলিশের তদন্তে পাওয়া আসামি বলে জানান ওসি রুহুল আমিন।
এ ছাড়া পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের সময় জোর করে সেখানে ঢুকে হামলার ঘটনায় ৮১ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মামলার পর পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
কলেজের অফিস সহকারী বাপ্পু কুমার দাশের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের কলেজে গত ১৮ জানুয়ারি থেকে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ চলছিল। বুধবার দুপুরে বিএনপি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন কলেজের সামনে দিয়ে গণসংযোগ করে যাওয়ার সময় কলেজে ঢোকার চেষ্টা করেন।
তবে ওই প্রচারণা মিছিলের পেছনে থাকা তার সমর্থকরা জোর করে কলেজে ঢুকে দরজা-জানালা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।
নগরীর নূর আহম্মদ সড়কে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের পর বিক্ষোভ মিছিল করেন তাদের সমর্থকরা। সেই সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে; কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণও ঘটানো হয়।