বাগেরহাট সদর উপজেলার খাঁনপুর ইউনিয়নের রনজিৎপুর চন্দ্রমহল ইকোর্পার্কের সামনে নির্জন একটি স্থান হতে দেলোয়ার হোসেন নিকারী (৩৫) নামের একজন ভ্যান চালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছেন চুলকাটি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় পার্কের ২য় গেটের সামনের সুকুমার দাশ এর নির্জন সিম বাগান এর ভিটা হতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা। নিহত দেলোয়ার হোসেন নিকারী ভট্টে-কনকপুর গ্রামের মরহুম ইলাল নিকারীর পুত্র। পেশায় তিনি একজন ভ্যান চালক ও এক সন্তানের জনক।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহত দেলোয়ার নিকারী তার ভ্যানটি চন্দ্রমহল ইকোপার্কের ১ম গেটের সামনে জনৈক দোকানদার এর কাছে রেখে কয়েকজন সঙ্গির সাথে চলে যায়। বিকাল সাড়ে ৫টায় দিকে জনৈক মহিলা সেই নির্জন স্থানে ঘাস কাটতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দেলোয়ার এর লাশ দেখে চিৎকার করলে গ্রামবাসি ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টায় দিকে চুলকাটি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেন। এসময় নিহতের আত্মীয়স্বজন বন্ধু বান্ধবদের আহাজারিতে সমগ্র এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে নিহতের আত্মীয়দের কান্নায় এলাকায় যখন শোকাবহ পরিবেশ তখন চন্দ্রমহল ইকোপার্কে ভেতরে চলছিল উচ্চস্বরে গান-বাজনা। এসময় উত্তেজিত জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা পার্কটি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। নিহতের খালা নাদিরা বেগম বলেন, চন্দ্রমহল ইকোপার্কের মূল গেটের সামনে তার ভ্যানটি রেখে অস্ত্রধারীরা তাকে নির্জন স্থানে এনে খুন করে। অথচ গেটের আশেপাশে কোন সি সি ক্যামেরা বা রোড লাইট নাই।
স্থানীয়রা বলেছেন, দেলোয়ার হোসেন একজন সহজ-সরল মানুষ ছিলেন, তার কোন শত্রু থাকতে পারে তা আমাদের মনে হয় না।
এব্যাপারে চুলকাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ ওলিয়ার রহমান বলেন, আমরা সন্ধ্যায় লোকমুখে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিলে লাশ উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে এসেছি। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারনা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এরির্পোট লেখা পর্যন্ত লাশটি চুলকাটি তদন্ত কেন্দ্রে ছিল।