চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ চলতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ৬৮ হাজার ৪১০ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে চলতি মাসের (আগস্ট) দুদিন বাকি থাকতেই হাসপাতালে প্রায় ৫০ হাজার ডেঙ্গু রোগী ভর্তির নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, গত ১ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৯ হাজার ৯৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন, যা গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে সারা বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচগুণ।
হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, মাস অনুযায়ী জানুয়ারিতে ৩৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে মাসে ১৯৩, জুনে ১ হাজার ৮৮৪, জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩ এবং আগস্টে (২৯ আগস্ট পর্যন্ত) ৪৯ হাজার ৯৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৬৩ হাজার ২০০ জন অর্থাৎ ৯২ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সরকারি হিসাবে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৫২ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে এপ্রিলে ২, জুনে ৫, জুলাইয়ে ২৮ ও চলতি আগস্ট মাসে ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাজধানীর চেয়ে ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছেন। গত ২৩ আগস্ট থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তিকৃত মোট সংখ্যা ৮ হাজার ৮২০। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৪ হাজার ১২৬ ও ঢাকার বাইরে ৪ হাজার ৬৯৪ জন ভর্তি হয়েছেন। সে হিসাবে ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৫৬৮ জন বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বর্তমানে স্থিতিশীল। খুব বেশি বাড়ছে না আবার কমছেও না।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশের হাসপাতালে মোট ১ হাজার ১৮৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৫২৪ এবং ঢাকার বাইরে ৬৬৫ জন ভর্তি হন।
এছাড়া মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ১৫৭ জন ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৫৫১ ও ঢাকার বাইরে ৬০৬ জন ভর্তি হয়েছেন।