চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃচালের দাম বাড়ায় সরকার খুশি বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে চাল উৎপাদন বেড়েছে। দেশ এখন চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা চালের দাম বাড়ায় খুশি। আট মাস ধরে চাচ্ছি চালের দাম বাড়ুক। চালের দাম না বাড়লে চাষিদের উৎপাদন খরচ উঠবে কী করে?
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘কৃষি তত্ত্ব সমিতি’- এর ১৮তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিনই আমাদের ট্রাক চাল নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এক ছটাক চালও বিক্রি হয় না। কেউই ৩০ টাকা কেজির চাল নিচ্ছেন না। মোটা চাল তোলার জন্য ডিলারদের বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারা তুলছেন না। মোটা চাল তো খারাপ নয়। মানুষ মোটা চাল খাবে না কেন! মোটা চালের দাম এক টাকাও বাড়েনি। তারপরও গণমাধ্যম বলছে চালের দাম বেড়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে আবদুর রাজ্জাক বলেন, কৃষকরা চালের দাম পাচ্ছেন না বলে ৮ মাস ধরে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি হচ্ছে। পাইকাররা চালের দাম নিয়ে যাচ্ছেন। সরকার কিছু করছে না। সুশীল সমাজ প্রচণ্ডভাবে আমাদের সমালোচনা করছিল। বিভিন্নভাবে বলেছি, কৃষককে ন্যায্যমূল্য দিতে আমরা চেষ্টা করছি।
মন্ত্রী বলেন, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে চাষিরা চাষাবাদ করেন। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করেন। তারা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করেন, সোনালি ফসল ফলাতে রক্ত পানি করেন। কিন্তু তারা ধানের সঠিক দাম পাচ্ছেন না। এ জন্য আমরা চিন্তিত ছিলাম। কয়েক দিন আগে চালের দাম চার থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। সংবাদপত্রে বেশ কিছু নিউজ হয়েছে, এগুলো সরকারকে বিব্রত করে। সে প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছিল পেঁয়াজের মতো দাম বাড়ছে চালের।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের জমি ক্রমান্বয়ে কমছে। তাই একই জমিতে বেশি ফসল উৎপাদন করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা অনেক সফলতা পেয়েছি। আমি দেখেছি ঈশ্বরদী, রংপুর, গোবিন্দগঞ্জের চাষিরা একই জমিতে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদন করেন। তারা প্রথমে মাসকলাই, পরে আলু, রসুন, পেঁয়াজ, ফুলকপি এবং বাঁধাকপি চাষ করেন।
অনুষ্ঠানে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. শামসুল আলম, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়াইস কবির, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি ড. ওমর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।