খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ডা. সুমিত পাল এর উপর হামলার ঘটনায় আজ দুপুর বারোটায় খুলনা বিএমএ ভবনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খুলনা বিএমএ’র সভাপতি ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, আগামি (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আসামী গ্রেফতার না হলে জেলার সকল চিকিৎসা কার্যক্রম (ইনডোর, আউটডোর প্রয়োজন বোধে খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসা) বন্ধ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া চিকিৎসকরা কালো ব্যাচ ধারণ করে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ , বিএমএর সহ-সভাপতি ডা. মোল্যা হারুন অর রশীদ, যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক ডা. বঙ্গ কমল বসু, প্রচার ও জন-সংযোগ সম্পাদক ডা. সুমন রায়, কার্যকরী পরিষদ সদস্য ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ, ডা. হিমেল সাহা, ডা. সোহানা সেলিম, বিএমএ’র কেন্দ্রীয় কাউন্সিলর ডা. শহিদুল ইসলাম মুকুল, ডা. বাপ্পারাজ দও, ডা. রকিবুল ইসলাম, ডা. সুদীপ পাল, বিপিএমপিএ খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. সওকাত আলী লস্কর প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩ এপ্রিল) বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের রফিকুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হয়ে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মারা যায়। তার মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজনরা কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমিত পালের উপর হামলা করে। এসময় ডাঃ সুমিত পালকে তার সহকর্মিরা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধারে করে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় পরের দিন ৪ এপ্রিল রোগীর দুই পুত্রকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা হয়, মামলা নম্বর ৬।