অনলাইন ডেস্কঃচট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত মেডিকেল অফিসারকে শারীরিকভাবে আঘাত ও লাঞ্ছিত করার দায়ে ১৫৪নং ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাঞ্ছিত ডা. খোরশেদুল আলম বাদি হয়ে চুয়েটের চার জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছেন।
মামলার বিষয়ে ডা. মোহাম্মদ খোরশেদুল আলম বলেন, আমার সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে এই মামলা। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন হামলার সুষ্ঠু বিচার করে তবে এ মামলা প্রত্যাহার করা হবে।
রাউজান-রাংগুনিয়া থানার সার্কেল অফিসার আবুল কালাম চুয়েটের চার জন শিক্ষার্থীর নামে মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, মামলাটি এখন তদন্তনাধীন, অভিযুক্তদের ব্যাপারে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তখন আমরা ব্যবস্থা নেব।
এ দিকে, হামলার প্রতিবাদে বুধবার (৩১ জুলাই) তৃতীয় দিনের মতো মানববন্ধন চলাকালে অভিযুক্তদের আজীবন বহিষ্কার, ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি করে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম বলেন, দ্রুত এ হামলায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার করা হোক। যদি কোনো সুষ্ঠু বিচার না হয় তবে আগামী ৪ আগস্ট হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
অপরদিকে শিক্ষার্থীরা বুধবার সকাল ৯টায় ক্লাস বর্জন করে মিথ্যা মামলা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রতিবাদে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চুয়েট শাখার সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের বলেন, ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রকৌশলী এবং চিকিৎসক সমাজের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
সমস্যা সমাধান কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক বলেন, শৃঙ্খলা কমিটির এক্সটার্নাল মেম্বার থেকে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।