চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে মিথ্যা বিল ভাউচার দেখিয়ে টাকা লোপাটে দুদকের মামলায় ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে খুলনা আদালত।সোমবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শহীদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।আসামিরা হলেন- মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির মালিক ঠিকাদার জাহের উদ্দিন সরকার, তাঁর বাবা হাজী আব্দুস সাত্তার সরকার, ভগ্নিপতি আসাদুর রহমান ও নিয়োগকৃত প্রতিনিধি কাজী আবু বকর সিদ্দিক।দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনার পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫৯ ধরনের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ক্রয়ের দরপত্র পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি। কিন্তু কোনো যন্ত্রপাতি না কিনেই পরস্পর যোগসাজসে মিথ্যা বিল ভাউচার দেখিয়ে ১৬ কোটি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৮২৭ টাকা উঠিয়ে নেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ৯ জুলাই দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় দুদক সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমানসহ মোট ৯ জনকে আসামি করা হয়।দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় ঢাকার উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দীন বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে স্পেশাল ২৫/১৯ নম্বর ওই মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, আসামি তৌহিদুর রহমান হাইকোর্টের আদেশে ছয় সপ্তাহের জন্য জামিনে ছিলেন। গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর তার জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। উক্ত জামিন শেষ হওয়ার পর আজ সোমবার স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিষয়টি আমলে না নিয়ে ডা. তৌহিদুর রহমানকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
চাঞ্চল্যকর এই দুর্নীতির মামলার অপর আসামি হিসাব রক্ষক আনোয়ার হোসেন গত ২৭ আগস্ট আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকেও হাজতে পাঠান।
এ মামলার অপর এক আসামি আগে থেকেই জেলে রয়েছেন। এছাড়া পলাতক আসামি স্টোর কিপার ফজলুল হককে সম্প্রতি হাইকোর্ট এক আদেশে দেশ ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।