চিতলমারী প্রতিনিধি: বাগেরহাটের চিতলমারীতে ধান ক্ষেতে পানি সেচ দেওয়া কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় প্রতিপক্ষরা একটি বাড়িতে হামলা হালিয়ে ভাংচুর করে। আহতদের প্রথমে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চিতলমারী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১ জানুয়ারী) বিকালে উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের চর-কচুরিয়া গ্রামের চলতি বোরো মৌসুমে ধান ক্ষেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে এশারত গাজী ও মোঃ আলম গাজীর লোক জনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এশারত গ্রুপের রেহেনা বেগম (৪০), সেতারা বেগম (৫০), এশারত গাজী (৫৫) শাকিল গাজী (২১), সাইফুল গাজী (২৭), সিদ্দিক গাজী (৬০), আব্দুল্লা গাজী (২২), শাহীন গাজী (২৫) এবং আলম গাজী গ্রুপের আলম গাজী (৪৫) ও জাহিদ শেখ (৩৫) আহত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষরা একটি বাড়িতে হামলা হালিয়ে ভাংচুর করে। আহতদের ওই দিন রাতে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রেহেনা বেগম, সেতারা বেগম, এশারত গাজী, আলম গাজী ও জাহিদ শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত এশারত গাজীর পুত্রবধু মারিয়া আক্তার ও মেয়ে নাজমা বেগম বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী আলম গাজী লোকজন নিয়ে আমাদের জমিতে জোরপূর্বক নালা খনন করছিল। এতে বাধা দেওয়ায় তারা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও পিটিয়ে-কুপিয়ে আমাদের ৮ জনকে জখম করেছে।
আহত আলম গাজীর মা আমিরোন নেছা বলেন, ওরা আমার ছেলে ও আত্মীয়কে মারপিট করেছে।
চর-কচুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মুজিবুর রহমান মৃধা, পাশের গ্রামের সেকেন্দার মল্লিক বলেন, এশারতের জায়গা জোরপূর্বক খনন করা হয়েছে। এটা অন্যায়, আমরা বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংশার চেষ্টা করছি।
তবে চিতলমারী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শরিফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে চিতলমারী থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা দায়েরের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।