বাগেরহাটের চিতলমারীর খড়মখালী শ্রী শ্রী হরিসভা আশ্রমের জায়গা দখল ও মন্দির সভাপতিসহ ভক্তদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুর ১ টায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ব্রহ্মগাতী গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মন্দির কমিটির সভাপতির রবিন মন্ডল।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মন্দির রবিন ম-ল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হরিদাস মজুমদার নামের এক ব্যক্তির সাথে হরিসভা আশ্রমের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ ওই জায়গা নিয়ে দীর্ঘ মামলা মকদ্দমা চলার পর উচ্চ আদালতের রায় মন্দিরের পক্ষে আসে। তাছাড়া দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর ধরে মন্দিরের ওই জায়গায় পূজা অর্চনা, মন্দিরের প্রসাদ রান্না ও প্রসাদ বিতরণের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গত শুক্রবার ( ২৬ আগস্ট) সকাল ৮ টার দিকে উক্ত হরিদাস মজুমদার ২০/২৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে মন্দিরের ওই জায়গা অবৈধভাবে দখল করতে আসে। এ সময় তাদের বাধা দিলে হরিদাস মজুমদারের নের্তৃত্বে ওই সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রের দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় গোপাল জয়ধর ও আমি গুরুতর আহত হই। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে চিতলমারী হাসপাতালে ভর্তি করে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চরবানিয়ারী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য কানন কির্ত্তুনীয়া, মন্দিরের সেবাইত ধীরেন বালা, পূজারী গোপাল জয়ধর, নিহার রায় প্রমুখ।
এ ব্যাপারে হরিদাস মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, হামলায় আমি নিজেই অসুস্থ। আমার জায়গা দীর্ঘদিন ধরে মন্দির কমিটি দখল করে রেখেছে।