বাগেরহাটের চিতলমারীর পশ্চিম কির্ত্তনখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাধবী রানী মজুমদার দীর্ঘ সাথ বছর ধরে ডেপুটেশনে খুলনার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। ফলে শিক্ষক সংকটে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় সহকারী শিক্ষক মাবধী রানী মজুমদারের ডেপুটেশন আদেশ বাতিল করে মূল বিদ্যালয়ে ফেরতের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকবাসী। এ সময় স্কুল সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধনে প্রায় চার শতাধিক এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী অভিভাবক অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী শিউলি মিস্ত্রী, নির্মল কুমার কীর্ত্তুনিয়া, সরস্বতী পোদ্দারসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান জানান, বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারনে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে। শ্রেণি শিক্ষক সংকট থাকায় অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান। তারা আরো জানান, এই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাবধী রানী মজুমদার ব্যক্তিগত স্বার্থে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ডেপুটেশনে খুলনার একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। এই দীর্ঘ সময় তিনি বিদ্যালয়ে না আসায় দিন দিন বিদ্যালয়ের পড়া-লেখার মান নিম্নমুখি হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার অভিযোগ দিলেও নিজের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বহাল তবিয়তে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়েই বেতন-ভাতা তুলে নিচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্তী রানী মুখার্জী জানান, এই বিদ্যালয় ৪ জন শিক্ষকের পদ রয়েছে। এ মধ্যে দীর্ঘ সাত বছর ধরে সহকারী শিক্ষক মাধবী রানী মজুমদার ডেপুটেশনে খুলনা রয়েছেন। ফলে শিক্ষক সংকটের কারণে প্রতিনিয়ত পাঠ দান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে কয়েক বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কোন ফল হয়নি।
এ ব্যাপারে শিক্ষিকা মাধুরী মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, ‘ আমার ডেপুটেশন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে হয়েছে। আমি খুলনা একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি। তবে মূল বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট থাকায় শীঘ্রই তিনি সেখানে ফিরে আসবেন বলেও অভিমত প্রকাশ করেণ।’
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, শিক্ষিকা মাধুরী রানী মজুমদার তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ডেপুটেশনে রয়েছেন। ওই স্কুলে শিক্ষক সংকট থাকার কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে।