চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মমিনুল (২০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের এক শিমের ক্ষেত থেকে ওই শিশুর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা সার্কেলের এএসপি আবু রাসেল।
নিহত ওই শিশুর নাম সুমাইয়া খাতুন। সে স্থানীয় পারকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দীনের শিশুকন্যা সুমাইয়া খাতুন শনিবার দুপুর ১টার পর থেকেই নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা সকল জায়গাতে খুঁজেও তার সন্ধান মেলাতে ব্যর্থ হন।
নিহত শিশু সুমাইয়ার বাবা নাসির উদ্দীন জানান, নিখোঁজের পর থেকে সকল আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খুঁজেও সুমাইয়ার সন্ধান না পেয়ে রাতে পুলিশকে অবহিত করি। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস জানান, বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর রাত ৯টার পর থেকে পুলিশ সুমাইয়ার সন্ধানে মাঠে নামে। এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে স্থানীয়রা নিখোঁজ সুমাইয়ার মরদেহ বিবস্ত্র অবস্থায় বাড়ির অদূরের একটি শিম ক্ষেতের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
দামুড়হুদা সার্কেলের এএসপি আবু রাসেল জানান, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরই পুলিশ ঘাতকদের আটকে অভিযান শুরু করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।