দিনভর সূর্যের লুকোচুরি কুয়াশার দাপট আর উত্তরের কনকনে হিমেল হাওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতা শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।
মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেনি শীতের দাপট। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনপদ।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ডায়রিয়া, মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েছে ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ। বেড না পেয়ে মেঝে ও বারান্দায় আশ্রয় নিচ্ছেন রোগীরা। ঠাণ্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত রোগী ও স্বজনরা।
অপরদিকে এত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। স্বল্প জনবল নিয়ে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে ব্যস্ত তারা।
গত তিনদিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ প্রায় ৭ শতাধিক রোগী ঠাণ্ডাজনিত কারণে আন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ জন নতুন রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় শিশুরা নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসময় শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। যাতে শিশুদের গায়ে বাতাস না লাগে সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ গরম কাপড়ে জড়িয়ে রাখতে হবে শিশুদের।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, গতকাল সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তার কিছুটা উন্নতি হয়ে ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে দাঁড়িয়েছে। আরো দু একদিন এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে।