৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে আবহাওয়া অফিস এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে জানিয়েছে এটিই চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
মধ্য বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও ঘন কুয়াশা ও হিম বাতাসে সূর্য তার আলোকরশ্মিতে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না।
মাঘের শুরু থেকেই শীত তার তীব্রতা জানান দিতে থাকে। মধ্য মাঘেও শীতের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুণে। তাপমাত্রা নেমেছে একবারে পাঁচের ঘরে। এ মৌসুমে তাপমাত্রা সাত থেকে ১০ এর মধ্যে উঠানামা করছিল গতকাল থেকে সেই তাপমাত্রা ৫-৬ এর ঘরে বিরাজ করছে।
শীতের তীব্রতার ব্যপকতা ছড়ালে দুর্ভোগে পড়ে স্বল্প আয়ের মানুষে। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবিকার উপর পড়েছে বিরুপ প্রভাব। কড়া শীতের মধ্যেই ভোরে শ্রমজীবী মানুষরা কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বের হয়। কাজ না পেয়ে আবারো তারা বড়ি ফিরে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার, রেলবাজার ও এর আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ছিন্নমূল অসহায় মানুষেরা শীত নিবারণের জন্য খড়কুটাে জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিচ্ছে। ছিন্নমূল এসব মানুষের পরনে তেমন শীতের গরম কাপড় নেই। আবার কেউ কেউ গরম কাপড়ের ওপর গায়ে জড়িয়ে নিয়েছেন চাদর বা পাতলা কম্বল। স্বচ্ছল মানুষও শীতের পোশাক পরে শীতের কামড় সামলে উঠতে পারছিলেন না।
শহরের ইজিবাইক চালক আবদুল্লাহ বলেন, দিনরাত শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইজিবাইক চালিয়ে দিনাতিপাত করি। শীতে কষ্ট হলেও পরিশ্রম করতেই হয়। পরিবার পরিজনদের দিকে তাকিয়ে শীত উপেক্ষা করে গাড়ি চালাই। প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও গাড়ি নিয়ে বের হই। তবে অন্যান্য দিনের মতো যাত্রী পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহে ভাটা পড়ছে।
পরিবহন শ্রমিক খালেক মোল্লা জানান, প্রতিদিন পত্র পত্রিকায় শীতবস্ত্র বিতরণের খবর দেখা যায়। শীতবস্ত্র বিতরণ দৃশ্যত চোখে পড়েনা। গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে।
শীতের তীব্রতায় চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। রোববার (৩১ জানুয়ারি) নতুন ৪০ জন রোগী ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সামাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এ মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এরকম পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন অব্যহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।