বর্তমানে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। তার অভিনয় প্রতিভা নিয়ে সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। একের পর এক ছবি বক্স অফিসে হিট। পেয়েছেন একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। বলিউড পাড়ায় কেউ কেউ তার প্রশংসায় বলে থাকেন ‘বিউটি ইউথ ব্রেইন’। তবে অসাধারণ প্রতিভাবান এই অভিনেত্রী এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। সে জন্য চিকিৎসাও চলে তার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের রোগের কথা প্রকাশ্যে আনেন অভিনেত্রী নিজেই।
আলিয়া জানান, তিনি ‘এডিএইচডি’ (অ্যাটেনশন ডেফিশিট/হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার) রোগে আক্রান্ত। এই রোগের অন্যতম লক্ষণ হল মানসিক চাঞ্চল্য, অস্থির ভাব ও অতিরিক্ত উত্তেজনা। কোনো কিছুতে মনযোগ দিতে বেগ পেতে হয়।
আলিয়া জানান, কয়েকটি পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, তিনিও এই রোগের শিকার। শৈশবে এই রোগের জন্য সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাকে পঠনপাঠনের ক্ষেত্রেও। ক্লাস চলাকালীন প্রায়ই অন্য মনস্ক হয়ে পড়তেন আলিয়া। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেও মনঃসংযোগ হারিয়ে ফেলতেন। তার বন্ধুরা বিষয়টা লক্ষ করেছিলেন। কিন্তু কেন এমন হয়, বুঝতে পারতেন না আলিয়া।
তবে ক্যামেরার সামনে যখন অভিনয় করেন তখন এই সমস্যাটা তার হয় না। তখন মনযোগ অক্ষত থাকে। মস্তিষ্কও শান্ত থাকে। বর্তমানে একমাত্র কন্যা রাহার সঙ্গে সময় কাটানোর সময়ও কোনো অসুবিধা হয় না। তার মন স্থির থাকে। নিজের অভিনয়ের কাজ ও মেয়ের সঙ্গ —এই দুই সময় মন সবচেয়ে শান্ত থাকে বলে নিজেই জানিয়েছেন আলিয়া।
এমনকি বিয়ের দিন সাজগোজের জন্যও স্থির হয়ে বসে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন আলিয়া। রূপটানশিল্পী পুনীত বি সইনি তার থেকে দু’ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু এতটা সময় টানা বসে থাকতে পারবেন না বলে জানান তিনি। তার চেয়ে নিজের মতো বসে বিশ্রাম করতে চেয়েছিলেন আলিয়া।
উল্লেখ্য, বর্তমানে তিনি আলিয়া তার ছবি ‘জিগরা’ নিয়ে ব্যস্ত। বরাবরের মতোই অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। আলিয়ার ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বেদাঙ্গ রায়না।