দেশের জনগণ এখন একটি নতুন গণতান্ত্রিক পার্লামেন্টের অপেক্ষায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকের এই পেশাজীবী সমাবেশ, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আনন্দের এ জন্যই যে আমরা অনেক দিন পর, প্রায় ১৫ বছর পরে একটা মুক্ত পরিবেশে, ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে আমরা এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করতে পেরেছি।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজ একটা অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রম করছি। একটা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পরাজিত করে, বিতাড়িত করা হয়েছে। একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে এবং একটা নতুন গণতান্ত্রিক পার্লামেন্ট এবং সরকার গঠিত হবে সে প্রত্যাশায় এ দেশের জনগণ অপেক্ষায়। আমরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আমাদের ভূমিকা আমরা পালন করব।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা যারা রাজনীতি করছি, বিভিন্ন পেশাতে আছি, সবাই আমরা এমনভাবে কথা বলব, কাজ করব যাতে গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে সুগম করে।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “রাষ্ট্র ব্যবস্থা যে ভেঙে পড়ছে, সেই কারণেই প্রায় দুই বছর আগে আমাদের নেতা তারেক রহমান সংস্কারের জন্য ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। সেই কর্মসূচির মধ্যে আমাদের সংস্কারের যে কথাগুলো বলা আছে, আমরা মনে করি যথেষ্ট, দেশের পরিবর্তনের জন্য।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের যে প্রস্তাব সে প্রস্তাবগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমাদের মতামতগুলো সেভাবে প্রদান করছি।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আবেগের মধ্য দিয়েও সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আমাদেরকে বাস্তববাদী চিন্তা করে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে। পরিবর্তনকে সামনে নিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আমি সবাইকে আবার অনুরোধ করব, অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে আপনারা ভূমিকা পালন করবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে যারা আমরা জড়িত আছি, তারা যেন এমন কোনো পদক্ষেপ না নিই, যে পদক্ষেপ আমাদেরকে কোনো ভুল পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।”
ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারপারসন শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পেশাজীবীদের মধ্যে অংশ নেন যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক এম আজিজ, আবদাল আহমেদ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।