যে বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নেই। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান আমরা সবাই মিলে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি; কিন্তু তারা আজ হিন্দু সম্প্রদায়, হিন্দু সম্প্রদায় বলে তাদের আলাদা করে দিতে চায়, আমরা তাদের সঙ্গে একমত নই। জনগণ যখন গর্জে ওঠে, তখন তাদের সামনে কোনো কিছুই আর দাঁড়াতে পারে না। খালেদা জিয়া মুক্ত হয়েছেন, কিন্তু তারেক রহমান এখনো দেশে ফিরে আসতে পারেননি, তাঁকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরীর কেডিএ এভিনিউস্থ তেঁতুলতলা মোড়ে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির তৃতীয় দিনের অংশ হিসেবে খুলনা বিএনপি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর দীর্ঘায়ু, সুস্থতা এবং গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে কথাগুলো বলেন, খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু। ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যার ফ্যাসিবাদ খুনি ও গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবি জানিয়ে মঞ্জু আরো বলেন, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। চব্বিশের পরাজিত শক্তিরা এই স্বাধীনতাকে ধূলিসাৎ করার পাঁয়তারা করছে। রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, আমাদের লড়াই সংগ্রাম এখনো থেমে যায়নি। যারা পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার দ- মওকুফ করে মুক্তি দেয় সরকার। তবে তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলের নেতা-কর্মী এবং ছাত্র-জনতাসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামান মনি’র সভাপতিত্বে এবং কামরান হাচান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, এড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, এড. গোলাম মওলা, নিজাম উর রহমান লালু, আনোয়ার হোসেন, সাদিকুর রহমান সবুজ, মজিবর রহমান ফয়েজ, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, এড. সরফরাজ হিরো, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, শামসুজ্জামান চঞ্চল, তরিকুল্লাহ খান, শেখ জামিরুল ইসলাম জামিল, ইশহাক তালুকদার, আকরাম হোসেন খোকন, কাজী মাহবুবুল হক, হুমায়ুন কবির বাবুল, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মহিউদ্দিন টারজান, মোল্লা মজিবর রহমান, আশরাফ হোসেন, এড. মুজিবর রহমান, মাহবুব হোসেন, ওমর ফারুক, আব্দুল জব্বার, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, জাকারিয়া লিটন, লিটু পাটোয়ারী, হেদায়েদ হোসেন হেদু, শেখ রুহুল আমিন, কাজী ফজলুল কবির টিটো, এড. ওমর ফারুক, আব্দুল হাকিম, ইকবাল হোসেন, আল বেলাল, আলমগীর ব্যাপারী, মিজানুজ্জামান তাজ, নুরুল ইসলাম লিটন, সৈয়দ গাজী, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, মোহাম্মদ আলী, মনিরুল ইসলাম, শাকিল আহমেদ, ওলিয়ার রহমান ওলি, রাজিবুল আলম বাপ্পি, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, গোলাম নবী ডালু, এড. ইমাম হোসেন, এড. মো. নেহিম, এড. সোবহান, আবু তালেব, মোস্তফা জামান মিন্টু, শামীম খান, মাসুদ রেজা, সাখাওয়াত হোসেন, মাহিম আহমেদ রুবেল, সুলতান মাহমুদ সুমন, হাবিব খান, মাহমুদুল হাসান মুন্না, সালাউদ্দিন সান্নু, সেলিম বড় মিয়া, কবির বিশ্বস, এম এ হাসান, কাজী সেলিম, কামাল হোসেন, কামরুল ইসলাম এরশাদ, ইলিয়াস হোসেন, টিপু হাওলাদার, মাসুদ রুমী, আসাদ সানা, আবু মাস্টার, শুকুর আলী, আবু দাউদ, মারুফুর রহমান, মোল্লা মেহেদী, আলম হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হোসেন, কামরুল বিশ্বস, ফিরোজ আহমেদ, শামীম রেজা, নুরে আলম, সিরাজুল ইসলাম বাবুল, মোস্তফা জামান নোমান, শেখ বায়জিদ, এ আর রহমান, তুহিন ইসলাম, ঈশা শেখ, শাহাজাহান হোসেন কালু, আরিফুল ইসলাম, আনোয়ার সমাদ্দার, মো. মঈন, জাকির হোসেন লিটন, পিএম শহিদ, সজল আকন নাসির, মো. শফি, রুহুল আমিন রাসেল, গাজী এজাজ, জুয়েল রহমান, আজাদ ভূঁইয়া, ইউনুচ শেখ, জহির উদ্দিন, তানভীর প্রিন্স প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল গফফার।