জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের বিভাগীয় শুমারির স্থায়ী কমিটির অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভা আজ (বৃহস্পতিবার) খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি।
সভাপতির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, দেশের পরিকল্পিত উন্নয়নর জন্য সঠিক পরিসংখ্যান জরুরি। স্কুল কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, তরুণ ও যুবসমাজ স্বতস্ফূর্তভাবে তথ্য দিয়ে এ শুমারিতে অংশগ্রহণ করবেন বলেন তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভাগীয় কমিশনার আসন্ন ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
খুলনা বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যুগ্মপরিচালক মোঃ গোলাম মোস্তফা জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের বিস্তারিত পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।
সভায় জানানো হয়, দেশের ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ আগামী ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২১ পরিচালিত হতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ২৪ অক্টোবর রাত ১২টা শুমারিরাত্র ধরা হয়েছে। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ কার্যক্রম জোনাল অপারেশন, শুমারি তথ্য সংগ্রহ, পিইস (Post Enumeration Check) এবং আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক এই চারটি পর্যায়ে সম্পন্ন হবে।
অন্যান্য শুমারির তুলনায় এবারের শুমারিতে কিছুৃটা ভিন্নতা রয়েছে। এবারেই প্রথম Integrated Census Management System (ICMS) চালু হতে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে শুমারি কাজে নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার, জোনাল অফিসার, উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, জেলা শুমারি সমন্বয়কারী, বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারীগণের নামসহ বিস্তারিত পরিচিতি এক ক্লিকেই জানা সম্ভব হবে, যা শুমারি ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত কার্যকরী হবে। জিআইএস ম্যাপ ব্যবহার করে সারাদেশে প্রায় চার লক্ষ স্থায়ী গণনা এলাকাভিত্তিক ম্যাপ প্রস্তুত করা হবে, এটা শুমারিতে বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শুমারির মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য এসডিজি সংক্রান্ত সূচক প্রণয়নে এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।
সভায় আরও জানানো হয়, এ শুমারিতে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় ০২ জন বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারী, ১৬ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী, ৩৮ জন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী এবং ৩৭৮ জন জোনাল অফিসার কর্মরত থাকবেন। সমগ্র দেশে সর্বমোট নিয়োজিত জনবলের সংখ্যা ৩৯৩৩ জন। গড়ে ১০০টি খানার জন্য ০১ জন গণনাকারী এবং ০৫-০৬ জন গণনাকারীর জন্য ০১ জন সুপারভাইজার নিয়োগ দেয়া হবে। গণনা খানার রেঞ্জ হবে ৮০-১২০টি অর্থাৎ একজন গণনাকারী ৮০টির কম এবং ১২০টি বেশি খানা গণনা করবেন না। সমগ্র দেশে প্রায় ০৪ লক্ষ গণনা এলাকা তৈরি করা হবে।
সভায় খুলনা জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন, বিভাগীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারী, জেলা শুমারি সমন্বয়কারী, উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।