খুলনা অফিসঃ২৫ জুলাই খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে আর কোন টালবাহানা না করার জন্য সরকারকে বার্তা পাঠানো হবে। এই দাবি যে বিশেষ কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের নয়, এই দাবি জনগনের- এ সত্য প্রমাণে বিভাগীয় সমাবেশ কর্মসূচিতে লাখো জনতার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি। আর সে লক্ষ্যেই চলছে সর্বাত্মক সাংগঠনিক তৎপরতা।
সোমবার সকালে সমাবেশের ভেন্যু পরিদর্শনকালে বিভিন্ন আলাপচারিতা ও প্রস্ততির নানা দিক সম্পর্কে নেতাদের কথায় পাওয়া গেল তারই আভাষ। শহীদ হাদিস পার্কের শহীদ মিনারের মূল বেদীতে স্থাপিত হবে মঞ্চ। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঢাকা থেকে আগত জাতীয় নেতৃবৃন্দ, অঙ্গ দলসমূহের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, খুলনা মহানগর ও জেলা এবং বিভাগের ৯ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ শতাধিক নেতার জন্য মঞ্চে আসন সংরক্ষিত থাকবে। শুধু হাদিস পার্কই নয়, সংলগ্ন সকল সড়ক জনারণ্যে পরিণত হবে সমাবেশে আগত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে। যে কারণে হাদিস পার্ক ছাড়িয়ে পিকচার প্যালেস মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, থানার মোড়, নগর ভবন- জেলা পরিষদের মোড় পর্যন্ত টানানো হবে মাইক। সমাবেশ মঞ্চের একেবারে সামনে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নারী কর্মীরা অবস্থান করবেন। মঞ্চের ডান পাশে থাকবে মিডিয়া কর্মীদের বসার স্থান। ভেন্যু পরিদর্শনকালে এসব স্থান চিহ্নিত করার পাশাপাশি মঞ্চ-সাজসজ্জা এবং শৃঙ্খলা উপ কমিটিকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
এরপর দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশকে সফল করতে গঠিত ১২ টি উপ কমিটির আহবায়ক, যুগ্ম আহবায়ক ও সকল সদস্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জরুরী সভা। এ সময় জানানো হয়, ২৫ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে মহানগর ও জেলা থেকে প্রায় দুই শতাধিক বাস, ট্রলার, নসিমন ও ইজি বাইকযোগে নেতাকর্মীরা খুলনায় আসবেন। তাদের বহনকারী যানবাহন নগরের কোন কোন স্থানে অবস্থান নেবে তা জানানো হয়।
সমাবেশ সফল করতে ইতিমধ্যে লক্ষাধিক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র, সকল ওলিগলিতে, বাজার-বিপনী বিতান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালতে পৌছে দেয়া হয়েছে লিফলেট। লিফলেট পৌছে গেছে প্রত্যন্ত মফস্বলে, উপজেলা সদরে এবং পৌরসভায়। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও মহল্লায় মহল্লায় বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। আজ থেকে পোস্টার লাগানো শুরু হবে। নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিংহভাগ ওয়ার্ডেই প্রস্ততি সভা সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে বিশাল বিশাল মিছিল নির্ধারিত সময়েই সমাবেশস্থলে হাজির হবে। সেভাবেই প্রস্ততি নিয়েছে ওয়ার্ড কমিটিগুলো।
সোমবারের ভেন্যু পরিদর্শন ও শেষে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা, মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, আমীর এজাজ খান, অধ্যাপক ডাঃ গাজী আব্দুল হক, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শাহজালাল বাবলু, জলিল খান কালাম, এ্যাড. বজলুর রহমান, রেহানা আক্তার, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশীদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, মাহবুব কায়সার, অধ্যাপক ডাঃ সেখ মোঃ আখতার উজ জামান, সিরাজুল হক নান্নু, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, কামরুজ্জামান টুকু, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, মেজবাউল আলম, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, শফিকুল আলম তুহিন, শাহিনুল ইসলাম পাখী, আশফাকুর রহমান কাকন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, মুজিবর রহমান, আজিজুল হাসান দুলু, এহতেশামুল হক শাওন, শেখ সাদী, ইলিয়াস মল্লিক, নাজমুস সাকির পিন্টু, ইউসুফ হারুন মজনু, মুর্শিদ কামাল, একরামুল হক হেলাল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, হাফেজ আবুল বাশার, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, রফিকুল ইসলাম বাবু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শামীম কবির, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, তৈয়েবুর রহমান, আতাউর রহমান রনু, শরিফুল ইসলাম বাবু, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, হেলাল আহমেদ সুমন, উজ্জল কুমার সাহা, গোলাম মোস্তফা তুহিন, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, আজিজুল ইসলাম, শামসুল বারিক পান্না, রবিউল ইসলাম রবি, হাফিজুর রহমান মনি, আবু সাঈদ শেখ, জসীমউদ্দিন লাবু, শরীফ মোজাম্মেল হোসেন, মোহাম্মদ আলী, রাহাত আলী লাচ্চু প্রমুখ।