মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বলেছে যে, এক বছরের জরুরি অবস্থা শেষ হলে দেশটিতে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। সেনা অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টা পর এমন তথ্য জানানো হলো।
সামরিক বাহিনীর ফেসবুক পেইজে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা প্রকৃত বহু-দলীয় গণতন্ত্র চর্চা করবো… যেখানে পূর্ণ ভারসাম্য এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হবে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর এবং জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে যাওয়ার পর” ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। সামরিক বাহিনী থেকে জারি করা ঐ বিবৃতিতে চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে বিবিসি মিয়ানমারের সংবাদদাতা জানাচ্ছেন। এগুলো হল:
১. নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং নিয়মানুযায়ী ভোটার তালিকা তদন্ত এবং পর্যালোচনা করা হবে;
২. কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সামরিক সরকার যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বেগবান করা হবে;
৩. দেশজুড়ে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া বন্ধ করতে কাজ করে যাবে সেনাবাহিনী; এবং
৪. জরুরি অবস্থা শেষে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করবে সেনাবাহিনী।
রোহিঙ্গা নেতাদের নিন্দা
বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের এক নেতা বলেছেন যে তারা মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে অপসারণের নিন্দা জানান।
রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেন, “আমরা রোহিঙ্গা সম্প্রদায় মিয়ানমারে গণতন্ত্রকে হত্যার এই ঘৃণ্য চেষ্টার নিন্দা জানাই।”
“আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি তারা যাতে এগিয়ে আসে এবং যেকোন মূল্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে।”