সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শুক্রবার , ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
জলদস্যুমুক্ত সুন্দরবনে শান্তির সুবাতাস বইছে | চ্যানেল খুলনা

জলদস্যুমুক্ত সুন্দরবনে শান্তির সুবাতাস বইছে

সুন্দরবনে এখন শান্তির সুবাতাস বইছে। জলদস্যুমুক্ত সুন্দরবনে আবারও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আত্মসমর্পণ করে যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে তাদের বিপথে নেওয়ার চেষ্টা যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে র‌্যাব। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) ও অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রবিবার (৩১ অক্টোবর) দস্যুমুক্ত সুন্দরবন দিবসের তৃতীয় বর্ষপূর্তি। এ উপলক্ষে বাগেরহাটের রামপালে আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের পুনর্বাসনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে র‌্যাব। গতকাল শনিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে র‌্যাব সদর দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান র‌্যাব ডিজি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সতর্কবার্তা জারি ছিল। এখনও তা জারি রয়েছে বলেই সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটক বাড়ছে, মানুষের গমনাগমন বেড়েছে, জলদস্যুতা শূন্যের কোঠায় নেমেছে। বাঘ ও হরিণের সংখ্যাও বেড়েছে। আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে চলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি র্যাবের পক্ষ থেকে এক সমীক্ষা চালানো হয়। যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং চাহিদা জানতে চাওয়া হয়। তাদের মধ্যে কেউ দোকান, কেউ নৌকা, কেউ জাল চেয়েছেন মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহের জন্য। তাদের প্রয়োজনীয়তা জেনে র‌্যাব সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

র‌্যাবের ডিজি বলেন, এখন সুন্দরবনে শান্তির সুবাস বইছে। অপহরণ, হত্যা আর সুন্দরবনে দেখা যায় না। জেলেদের কষ্টার্জিত উপার্জনের ভাগও কাউকে দিতে হচ্ছে না। বন্যপ্রাণীসহ সুন্দরবনের মাওয়ালি, বাওয়ালি, বনজীবী, সবাই নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করছে। এখন পর্যটক, দর্শনার্থী, জাহাজের নাবিকরা সুন্দরবনে নির্ভয়ে যেতে পারছে।

র‌্যাব জলদস্যুমুক্ত সুন্দরবন গড়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রতিনিধি, বন বিভাগ, স্থানীয় বাসিন্দা, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান র্যাবের ডিজি। বলেন, একটা জিনিস অর্জন করার চেয়ে ধরে রাখা অনেক বেশি কঠিন। জলদস্যুমুক্ত সুন্দরবন ধরে রাখার জন্য দুবলার চর ও মুন্সিগঞ্জে আমরা দুটি ক্যাম্প স্থাপন করেছি। নিয়মিত ফুট-প্যাট্রল, নৌ-প্যাট্রল করছি। প্রয়োজনে হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছি। গোয়েন্দা নজরদারি রাখছি। যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদেরও আমরা মনিটরিং করছি।

তিনি বলেন, আত্মসমর্পণ করেও যারা আমাদের সঙ্গে থাকবে না, তাদের সহায়তা দেওয়া হবে না। সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। সম্পর্ক যাতে ভালো থাকে, আত্মসমর্পণকারীরা যাতে ভালো থাকে, তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে গণসংযোগ হচ্ছে। যারা ভালো পথে ফিরেছে তাদের ভালো পথেই রাখতে চাই। যারা এখনও আসেনি তাদের নাম আমরা প্রকাশ করতে চাই না। আমরা উৎসাহিত করতে চাই তারা যেন নেতিবাচক পথ থেকে ফিরে আসে।

‘আত্মসমর্পণকারী অনেকেই আমাদের বলেছে, তাদের সন্তান স্কুলে গেলে বাবার পরিচয় দিতে পারত না। তারা আজ বুক ফুলিয়ে বলতে পারছে বাবা কী করে। লজ্জিত হবার মতো আর কিছু নেই। বরং তারা গর্বিত কণ্ঠে বলতে পারে যে আমার বাবা দোকানদার, মাঝি কিংবা জেলে।’

এবার আত্মসমর্পণকারীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১০২টি ঘর, জিনিসপত্রসহ মুদি দোকান ৯০টি, জাল ও মাছ ধরা নৌকা ১২টি, ইঞ্জিনচালিত নৌকা আটটি, বাছুরসহ ২২৮টি গবাদি পশু দেওয়ার ঘোষণা দেন র্যাবের ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। বলেন, ‘যদি অসুখ-বিসুখে গরু মারাও যায় সেজন্যও থাকবে বরাদ্দ। আমরা চাই জলদস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরুক।’

২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে র‌্যাব মহাপরিচালককে প্রধান সমন্বয়কারী করে সুন্দরবনে জলদস্যু দমনে টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে গোড়াপত্তন ঘটে জলদস্যু মুক্তকরণ প্রক্রিয়ার। ২০১২ সাল থেকে লিড এজেন্সি হিসেবে র‌্যাবের জোরালো অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জলদস্যুরা। উপর্যুপরি অভিযানে ফেরারি জীবনের অবসান ঘটিয়ে আত্মসমর্পণের পথ বেছে নেয় জলদস্যুরা।

২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন সদস্য, ৪৬২টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করে। ফলে সম্পূর্ণরূপে জলদস্যুমুক্ত হয় সুন্দরবন। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ‘দস্যুমুক্ত সুন্দরবন’ এর ঘোষণা দেন।

https://channelkhulna.tv/

বাংলাদেশ আরও সংবাদ

ঢাকা মেডিকেল থেকে ‘ভুয়া নারী চিকিৎসক’ আটক

টেন্ডার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: রিজওয়ানা হাসান

ট্রাইব্যুনালের মামলায় প্রথম জবানবন্দি দিলেন সাবেক আইজিপি মামুন

আদালতে আমুর বক্তব্যে উত্তেজনা, আইনজীবীকে পিটুনি

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না তাবলিগ জামাত

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজতে কমিটি গঠনে রুল

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।