জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন খুলনা জাতীয় পার্টির তিন নেতা। শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই ঘোষণা দেন।
পদত্যাগকারীরা হলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মহানগর সভাপতি আবদুল গফফার বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোল্লা শওকত হোসেন বাবুল ও জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম মাসুদুর রহমান।
আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে তারা তিন জন দীর্ঘদিন ধরে পার্টির মধ্যে কোনঠাসা ছিলেন। বর্তমান খুলনা জাতীয় পার্টিতে তাদের কোনো পদে তারা। গতবছর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পার্টির রওশন এরশাদ অনুসারীরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যে কমিটি করেছিলেন তাতে এই তিন জনের নাম ছিল।
দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় থাকার পর পদত্যাগের কারণ প্রসঙ্গে এই তিন নেতা বলেন, ভুল স্বীকার ও ক্ষমা চাওয়া রাজনৈতিক সংস্কার ও শিষ্টাচার। আমরা রাষ্ট্রের পূর্ণ সংস্কার চাই, যাতে ভবিষ্যতে জনগণের দোহাই দিয়ে আর কোনো স্বৈরশাসক জাতির কাঁধে চেপে বসতে না পারে।
নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে তারা বলেন, আপাতত নেই। তবে রাজনীতি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
গফফার বিশ্বাস এর আগেও কয়েকবার বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় অপারেশন ক্লিন হার্ট শুরু হয়। অসংখ্য মানুষ নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করি। পরে জাতীয় পার্টি যে ক’বার জনগণের ভাষা বুঝতে পারেনি, ভুল পথে হেটেছে আমি সরে দাড়িয়েছি।
বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে লিয়াঁজো করে খুলনা মটর বাস মালিক সমিতি, নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন আবদুল গফফার বিশ্বাস। মাসুদুর রহমানও সরকারি আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন আদালতে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবদুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ওই সময় আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিষয়ে আমি সবচেয়ে সোচ্চার ছিলাম।