মিয়ানমার থেকে ২০২১ সালের পর আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি বলে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর প্রতিবাদে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসকে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার ও জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ফেরদৌসী শাহরিয়ার ও তৌফিক হাসানের উপস্থিতিতে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিকে ডেকে এ অসন্তোষের কথা জানানো হয়েছে।
ইউএনএইচসিআরের প্রকাশ করা প্রতিবেদনে ২০২১ সালের পর মিয়ানমার থেকে আর কোনো রোহিঙ্গা প্রবেশ না করার তথ্য ছাড়াও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অংশে রোহিঙ্গারা পরিকল্পিতভাবে থাকছে। অন্যদিকে, থাইল্যান্ডের সীমান্তে রয়েছে খণ্ডকালীনভাবে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে আবাসিক প্রতিনিধিকে বলা হয়েছে, এ ধরনের তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই, সঠিক তথ্য নয়। আবাসিক প্রতিনিধি বাংলাদেশের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা মিয়ানমার ইউএনএইচসিআর করেছে, ঢাকার ইউএনএইচসিআর নয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে ইউএনএইচসিআর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিগত কয়েক মাসে মিয়ানমার থেকে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশকারী এসব রোহিঙ্গার তালিকা বাংলাদেশের ইউএনএইচসিআর সরকারকে দিয়েছে।
শুধু তাই নয়, অনুপ্রবেশকারী এসব রোহিঙ্গাকে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের আওতায় আনতে সরকারকে চাপ দিচ্ছে। অথচ সেই সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২১ সালের পর মিয়ানমার থেকে আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।