শহীদ পরিবার, আহত মুক্তিযোদ্ধা, জুলাই বিপ্লবে অভ্যুত্থানকারী নেতৃবৃন্দ ও অংশীজনদের সম্মানে খুলনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টিসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। তবে এতে আওয়ামী লীগের শরীক কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
নগরীর খুলনা ক্লাবে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এছাড়া অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহবায়ক তানজীল মাহমুদ, যুগ্ম সদস্য সচিব ফরিদুল হক, দক্ষীণাঞ্চলের যুগ্ম মূখ্য সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না, এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক ওয়াহিদুজ্জামান প্রত্যাশা, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখপাত্র আশরেফা খাতুন, সংগঠক মোঃ আমিনুল ইসলাম।
ইফতার অনুষ্ঠানে এনসিপির বক্তারা বলেন, আমাদের মধ্যে নানা বিষয়ে মতভেদ-মতপার্থক্য নীতিগত বিরোধ হতে পারে। তবে গণতান্ত্রিক সম্পর্ক, সংলাপ, মিথস্ক্রিয়া যাতে ছেদ না পড়ে। জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে বিলোপ-পরাস্ত করা সম্ভব নয়। আমরা যেন ভুলে না যাই- দেশের বিপদ এখনও কাটেনি। বাংলাদেশ বিরোধিরা এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
বিশিষ্টজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক বিএনপি নেতা ও সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু , কেসিরি সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জামায়াতে ইসলামের মহানগর সেক্রেটারিএ্যাড জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহানগর সহ সভাপকি মেখ নাসির উদ্দিন, এবি পার্টির মহানগর সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, নাগরিক ঐক্যের মহানগর সাধারণ সম্পাদক এ্যাড জাকির হোসেন, আগুয়ান ৭১ এর আহ্বায়ক ডা. আব্দুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
খুলনা এনসিপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আহম্মেদ হামীম রাহাত, সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি, মোঃ ফরিদ আহম্মেদ পাঠান, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ রমজান শেখ, মুশফিক মেনান প্রমূখ।