‘কোভিডোত্তর বিশে^র টেকসই উন্নয়ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ৩০তম আন্তর্জাতিক ও ২৩তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ আজ (শুক্রবার) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য সবকিছু আলাদা থাকা দরকার। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের প্রতি বিশেষ সহানুভূতিশীল। সরকার প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ভাতা, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, অটিজম রিসোর্স সেন্টার, অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল, ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণসহ প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অতিথির আরও বলেন, তাঁদের মধ্যে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে। প্রতিভা বিকাশে প্রতিবন্ধীদের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজের একটি অংশ। তারা কোন অবহেলার শিকার না হয় সেদিক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলায় প্রায় ৩৫ হাজার ভাতাভোগী প্রতিবন্ধী রয়েছেন। এছাড়া জেলায় ৪১ হাজার একশত ৯০ জন প্রতিবন্ধীর ডাটাবেইজ ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলী। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মোঃ মাহবুব আলম সোহাগ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু প্রমুখ বক্তৃতা করেন। খুলনা জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা সভা শেষে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়।