একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া হাইকোর্টে চলমান থাকায় সাঈদীর পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য এ তারিখ ধার্য করেছেন।
এ উপলক্ষে সকাল ১০টার দিকে সাঈদীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একমাত্র আসামি।
২০১০ সালের ১৯ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উপকর কমিশনার মাসুমা খাতুন বাদী হয়ে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আয়কর ফাঁকির অভিযোগে এ মামলা করেন। বিচারক ওই মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় তা আমলে নিয়ে ২২ আগস্ট তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সাঈদী জাতীয় সংসদের একজন সম্মানিত সাবেক সংসদ সদস্য হওয়া সত্তে¡ও ২০০৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৯ সালের ৩০ জুন সময়ের মধ্যে ২ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকার আয় গোপন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করে এর ওপর প্রযোজ্য ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকার কর ফাঁকি দিয়েছেন। ২০১০ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জহুরুল হক মামলাটির নথি বিচারের জন্য এ আদালতে পাঠান। এ মামলায় সাঈদী হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও যুদ্ধাপরাধ মামলার কারণে বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।