চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবিএনপি চেয়ারপারসন তিনবারের সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজকে ‘বিতর্কিত’ অ্যাখ্যা দিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি, সরকার আদালতকে প্রভাবিত করে এই রায় দিয়েছে। এই রায়ের পরিণাম হবে ভয়াবহ। জামিন না দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আরও দীর্ঘ সময় আটক রাখার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে সরকার। গণভবন থেকে এই রায় দেয়া হয়েছে বলে দেশবাসী ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখ্যান করে।
সরকারকে উদ্দেশ্যে করে দলের নগর সভাপতি আরও বলেন, আপনি বলছেন খালেদা জিয়া জেলখানায় রাজার হালে আছেন। তখনি দেশবাসী বুঝে নিয়েছিল; আপনি কি ইঙ্গিত করেছেন আদালতকে। সেদিন বেশি দূরে নয়; দেশবাসীও আপনাকে নিশ্চয়ই রাজার হালে রাখবে। আমরাও আপনাকে রাজার হালে রাখতে চাই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখন আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না। খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে সকল বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে নামতে হবে। সরকার খালেদা জিয়াকে জামিন না দিতে বিচার বিভাগ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করছে। আন্দোলনের মাধ্যমেই ফ্যাসিস্ট সরকারের উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপি’র এই কেন্দ্রীয় নেতা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে ও আশ-পাশের এলাকায় জড়ো হয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জমায়েত হয় নেতা-কর্মীরা। জোহরের নামাজের বিরতির পর আদালতের রায় শুনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করে দলের নেতা-কর্মীরা। থানা মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ বিএনপি’র মিছিলে বাধা দেয়। সেখান থেকে ফিরে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্যদিয়ে সমাবেশ শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. এস এম শফিকুল আলম মনা, সাবেক সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, আমীর এজাজ খান, মীর কায়সেদ আলী, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, সৈয়দা রেহানা ঈসা, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শাহ জালাল বাবলু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, আশরাফুল আলম নান্নু, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, সুলতান মাহমুদ পিন্টু, মহিবুজ্জামান কচি, শাহিনুল ইসলাম পাখী, আজিজুল হাসান দুলু, ইকবাল হোসেন খোকন, সাজিদুর রহমান সবুজ, মুর্শিদুর রহমান লিটন, ওহেদুজ্জামান রানা, শেখ সাদী, মুর্শিদ কামাল, মেজবাউল আলম, ইউসুফ হারুন মজনু, কেএম হুমায়ুন কবির, একরামুল হক হেলাল, শের আলম সান্টু, একরামুল কবির মিল্টন, চৌধুরীর হাসানুর রশিদ মিরাজ, আব্দুল আজিজ সুমন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শরিফুল ইসলাম বাবু, হেলাল আহমেদ সুমন, এড. তৌহিদুর রহমান তুষার, নাজির উদ্দিন আহমেদ নান্নু, খায়রুল ইসলাম জনি, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, আবুল কালাম জিয়া, হাসান মেহেদী রিজভী, বদরুল আনাম, হাফিজুর রহমান মনি, জামিরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, এড. মোঃ আলী বাবু, আফসার মাস্টার, শাহাবুদ্দীন মন্টু, ইসহাক তালুকদার, আবু সাইদ শেখ, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাউদ্দিন মিজু, তৌহিদ খোকন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, জাহিদ কামাল টিটু, আঃ জব্বার, কাজী মাহমুদ আলী, বাচ্চু মীর, ওহেদুর রহমান দীপু, নাসির খান, আসলাম হোসেন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা আব্দুল গফ্ফার প্রমুখ।