চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিধিকুন্ডু গ্রামে চতুর্থ শ্রেনীর এক ছাত্রকে আম চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে বাড়িতে আটকিয়ে রশি দিয়ে গাছে বেধে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার শিশু শাওনকে(১০) পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা নিধিকুন্ডু খানপাড়ার হতদরিদ্র আব্দুল খালেক বলেন, আমার ছেলে শাওন চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র। আমার উক্ত ছেলে সোমবার দশটার দিকে বাড়ির পাশে প্রতিবেশী শফি খানের বাড়ি সংলগ্ন একটি আম গাছের নিচে পড়ে থাকা আম কুড়িয়ে নেয়। কিন্তু শফি খানের ছেলে হাবিব উল্লাহ(৪৫) আমার উক্ত ছেলেকে আম চুরির অপবাদ দিয়ে ছেলেকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে,আবার কখনও ঘরের সাথে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। আমরা ছেলেকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ঘটনা টের পেয়ে ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আমাদেরকে তাড়িয়ে দেয়। পরে আমরা লোকজনের মাধ্যমে শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ নিয়ে গিয়ে ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন যুবকের অভিযোগ আমরা অভিযুক্ত হাবিব উল্যাহকে অনুরোধ করি শিশু শাওনকে ছেড়ে দিতে। কিন্তু ছেড়ে দেয়া তো দুরের কথা আমাদের সামনেই মারপিট চালাতে থাকে। পরে পুলিশ উদ্ধার করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, অভিযুক্ত হাবিব উল্যাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। ঘটনা’র ব্যাপারে এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে উভয় পক্ষে নিয়ে থানায় মঙ্গলবার সকালে বসা হবে, না মিটলে আইনি ব্যবস্থা।