জীবন বিপন্ন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মেয়রপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, চারদিকে বারুদের গন্ধ পাই, অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনি; যে কোনো সময় আমার জীবন বিপন্ন হতে পারে। আপনারা আমাকে কবর দিয়ে আসবেন।
তিনি রোববার বসুরহাট পৌর নির্বাচন সামনে রেখে ৯নং ওয়ার্ড হাজিপাড়ায় এক পথসভায় এসব কথা বলেন।
মিডিয়ার সমালোচনা করে কাদের মির্জা বলেন, পত্রপত্রিকা আসলগুলো লেখে না। এডিট করে আমার কথা বিকৃত করে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কিছু নেতা সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে এসব বিকৃত সংবাদ পরিবেশন করে। এগুলো আবার প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের মন্ত্রীর (ওবায়দুল কাদের) কাছে পাঠিয়ে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে। পনেরোআনা মানুষ আমার প্রশংসা করে। একআনা মানুষ আমার সমালোচনা করে। আমি নির্বাচনকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে পাগল ও উম্মাদ বলেছেন, তিনি গোপালগঞ্জের এমপি। যেখানে নাইনটি নাইন পার্সন মানুষ আওয়ামী লীগ করেন। তিনি তো নিজের যোগ্যতায় এমপি হননি আওয়ামী লীগ করেন সে কারণে এমপি হয়েছেন। তিনি আগে মন্ত্রী ছিলেন, এবার মন্ত্রীও হতে পারেননি– কেন বাদ পড়েছেন? দায়িত্বশীল নেতাদের উচিত খবর নিয়ে কথা বলা।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে আগামীতে জিততে হলে আরও সতর্ক হতে হবে। নিজের বউকে সামলাতে হবে। সঙ্গে যারা চলেন, তাদের ওপর নজর রাখতে হবে, কে কোথায় থেকে মাসোয়ারা নেয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
‘সরকারের নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এমপি থেকে ইউনিয়ন মেম্বার পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি কেউ মাদকসেবী ও নারী কেলেঙ্কারি হলে দলের মনোনায়ন যাতে না পায়। দলের কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত কোন পদে কেউ আসতে পারবে না। এ ঘোষণার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি চাকরি দেওয়ার সময় ডোপ টেস্ট করতে হবে’-যোগ করেন কাদের মির্জা।