অনলাইন ডেস্কঃচলতি জুলাই মাসে সারাদেশে ১৯৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। তাদের দাবি, নিহতের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে হত্যার শিকার হয়েছেন ৩০ জন।মানবাধিকার কমিশনের সহকারী পরিচালক (গবেষণা ও জনসংযোগ) জাহানারা আক্তার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌর শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের সহযোগিতায় এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।জরিপের মাধ্যমে জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সারাদেশে মোট হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ১৯৪টি। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। হত্যাকাণ্ডের হার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় কমিশন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জুলাই মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকাণ্ড ঘটে ৬টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে।কমিশন জানায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড কমিয়ে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল এ ধরনের ক্রমবর্ধমান হত্যাকাণ্ড হ্রাস সম্ভব।নিহত ১৯৪ জনের মধ্যে চারজন যৌতুকের কারণে, পারিবারিক সহিংসতায় ৩১ জন, সামাজিক সহিংসতায় ৬১ জন, রাজনৈতিক কারণে সাতজন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ৩০ জন, বিএসএফের হাতে সাতজন, চিকিৎসকের অবহেলায় পাঁচজন, অপহরণ করে হত্যা সাতজনকে, গুপ্ত হত্যা ৯, রহস্যজনক মৃত্যু ২৭ জন, ধর্ষণের পর হত্যা পাঁচজন, এসিড নিক্ষেপে একজন। এ ছাড়া আত্মহত্যা ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন আরও ২২৪ জন।