চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ বিভাগীয় শহর খুলনায় এবার খাদ্য বিভাগের নয় জেলা প্রশাসনের উদ্ভাবিত অ্যাপে কৃষকের নিকট থেকে ধান কিনবে খাদ্য বিভাগ। অ্যাপ তৈরির কার্যক্রম শেষ দিকে থাকায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি ধান কেনা শুরু করা হলেও খুলনায় এখনও কেনা শুরু হয়নি। খাদ্য বিভাগের অ্যাপ না হলেও জেলা প্রশাসনের এই অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি আগামী সপ্তাহ থেকে কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে দেশের ২২টি উপজেলা থেকে অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ করবে সরকার। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ২৬ এপ্রিল থেকে থেকে শুরু করার কথা এই কার্যক্রম। কিন্তু খুলনায় কার্যক্রম এখনও শুরু করা হয়নি। কেননা খাদ্য বিভাগের অ্যাপ না থাকলেও খুলনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উদ্ভাবিত অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের নিকট থেকে ধান কেনা হবে। এর আগে শনিবার দৈনিক প্রবাহ পত্রিকায় ‘খুলনায় ধান কেনার অ্যাপ খেলো করোনা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের দুইদিন পর মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকের নিকট থেকে ধান কেনার জন্য উদ্ভাবনী অ্যাপের ঘোষণা দেওয়া হয়। শুরু করা হয়েছে অ্যাপ তৈরির কার্যক্রম। কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। অ্যাপ তৈরি শেষ হলেই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি কৃষকের নিকট থেকে ধান কেনা শুরু করবে খাদ্য বিভাগ। গত আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহে প্রথমবারের মতো অ্যাপ পদ্ধতিতে কৃষকের নিকট থেকে ধান সংগ্রহ করে খাদ্য বিভাগ। বিভাগীয় শহর খুলনা প্রথমবারেই বঞ্চিত হয় এই সুবিধা থেকে। গত মৌসুমের সফলতা নিয়ে ২০ এপ্রিল খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাপে ধান সংগ্রহের জন্য অনুমোদনকৃত উপজেলাগুলোর তালিকায়ও বাদ পড়ে খুলনা জেলার নাম। এবার কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কেনা ২৬ এপ্রিল শুরু হয়ে আগামী ৩১ আগষ্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। খুলনা জেলায় এবার বোরো মৌসুমে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন।
খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান বলেন, খুলনায় জেলা প্রশাসনের উদ্ভাবনী অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের নিকট থেকে ধান কেনা হবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি রোববার থেকে ধান কেনার কথা থাকলেও এখনও শুরু করা হয়নি। অ্যাপ তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আগামী সপ্তাহ থেকে কেনা শুরু করা হতে পারে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, এই অ্যাপটি তার নিজের উদ্ভাবন করা। এর মাধ্যমে কৃষকরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি তাদের ধান বিক্রি করতে পারবেন।