জয়পুরহাট জেলায় ট্রেনের ধাক্কায় বাসের ১২ যাত্রী নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত আর তিনজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হতাহতরা সবাই বাসের যাত্রী। দুর্ঘটনার সময় রেলক্রসিংয়ের গেট খোলা ছিল এবং সংশ্লিষ্ট গেটম্যান ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করার জন্য উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে গেছে। চেষ্টা চলছে দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রেন অপসারণের।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম। জেলা প্রশাসক বাংলানিউজকে জানান, পুরানাপৈল রেলগেটের গেটম্যান তার দায়িত্ব পালন না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দাফনসহ সার্বিক খরচ বহন করা হবে। দুর্ঘটনার পর থেকে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। চেষ্টা চলছে দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রেন অপসারণের।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলগেটে সকালে রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন বাসটিকে ধাক্কা দেয়। বাসটিকে দুমড়ে-মুচড়ে ট্রেনটি রেললাইনের ওপর দিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৫ জন। আহতদের প্রথমে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শজিমেক হাসপাতালে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। সেখানে এখন আরও ৩ জন চিকিৎসাধীন।
নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আটুল গ্রামের আলতাফ হোসেনে ছেলে সরোয়ার হোসেন (৩৫) এবং তার ছোট ভাই আরিফুজ্জামান রাব্বী (২৫)।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সালাম কবীর, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন চন্দ্র রায় এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট।