যশোর প্রতিনিধিঃছোটবাবুকে খুন করার আগে জোর করে ফেনসিডিল সেবন করানো হয়। এরপর মাতাল হয়ে পড়লে ছুরি দিয়ে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ২৪ বার আঘাত করলে সে পড়ে যায়। তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।এইভাবে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নুরজামাল ওরফে ছোটবাবু হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বর্ণনা দেন আটককৃত ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের আব্দুর রউফ ওরফে বাবলু ডাক্তারের ছেলে তাজরিয়ান মাহমুদ তুর্য্য, ইমরান রেজা খোকনের ছেলে তাজীবুল বিশ্বাস অক্ষর, কামরুল ইসলামের ছেলে শাহিন হোসেন, আব্দুর রহিমের ছেলে আবু জাফর এবং মল্লিকপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম। টাকা এবং মোবাইল ফোন দাবি করায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছোটবাবু নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে বলেও স্বীকারোক্তিতে তারা বলেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান যশোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন সিকদার।তিনি বলেন, ছোটবাবুর পকেট থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইলের কললিস্ট ধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।সালাহউদ্দিন সিকদার আরও বলেন, হত্যাকারীদের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল এবং ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই শার্শার কাশিয়ানী মাঠ থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের পকেটে একটি মোবাইল ফোন ছিল। সেই মোবাইলের সূত্র ধরে নিহত যুবকের মা নুরজাহানকে সনাক্ত করে পুলিশ। ওই দিন বিকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে লাশটি নুরজামাল ওরফে ছোট বাবু বলে নিশ্চিত করেন নিহতের মা নুরজাহান। এ ঘটনায় নিহতের মা নুরজাহান শার্শা থানায় মামলা হত্যা মামলা দায়ের করেন।